
মধ্যনগরে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তি মধ্যনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য গলহা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সত্তার।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সুবিচার চেয়ে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দশটি লিখিত অভিযোগ করেন গলহা গ্রামের ভুক্তভোগীরা।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় একই গ্রামের বাসিন্দা মন্তোষ মিয়ার নিকট হইতে টিউবয়েল দেয়ার কথা ঊনিশ হাজার টাকা নেন। ভিজিডি কার্ড দেয়ার কথা বলে গলহা গ্রামের চিত্তরনজন দেবনাথ থেকে তিন হাজার,আলী হোসেন থেকে তিন হাজার পাঁচশত ও সুখময় দেবনাথের কাছ থেকে পাঁচ হাজার,অসীম দেবনাথের তিন হাজার দুইশত টাকা,অঞ্জলি দেবনাথের তিন হাজার টাকা,পলাশ দেবনাথের তিন হাজার দুইশত বিশ টাকা ও রানী দেবীর কাছ থেকে দুই হাজার টাকা। মাতৃত্ব ভাতার জন্য মিতু আক্তারের তিন হাজার,রুবিনা আক্তারের তিন হাজার পাঁচশত টাকা। টাকা নিয়েছেন। দের বছরের অধিক দিন পেরিয়ে গেলেও কোন সেবা না পেয়ে নিজের টাকা ফেরৎ চাইতে গেলেও ভয়ভীতি অপমান সূচক কথা প্রদর্শন করছেন ঐ জনপ্রতিনিধি।
মধ্যনগর উপজেলা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক মিয়া বলেন,আমার জানামত আমাদের গ্রামের পুরুষ মহিলা সহ প্রায় আটটির উপরে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে।নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় সময় দিয়েছেন শুধরানোর জন্য কিন্তু উল্টো তাদের বাড়িতে এসে শাশিয়ে গেছে সাত্তার মেম্বার।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ৮নং ইউপি সদস্য আব্দুস সত্তারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য যারা অভিযোগ করছে তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। একটি চক্রান্তকারী দল আমার মানহানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য লিপ্ত রয়েছে।
মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জীব রনজন তালুকদার টিটু বলেন,আমি উপজেলার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।সে যদি কোন অপরাধ করে থাকে সুবিচার হউক। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ চাকমা বলেন অভিযোগ পেয়েছি।তাকে আটচল্লিশ ঘন্টার সময় দিয়েছি। যদি সমাধান না হয়,প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুরঞ্জন তালুকদার