মধ্যনগরে দোকান ভাঙচুর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে দূর্বৃত্তরা ফজু মিয়া (২৮) নামে এক পঙ্গু চা-দোকানদারকে মারধর, দোকান ভাঙচুর করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে আভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার দাতিয়াপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ভুক্তভোগী ফজু মিয়া বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়াপাড়া নতুন বাজারে পঙ্গু ফজু মিয়ার চা-দোকানে অভিযুক্তরা এ ঘটনাটি ঘটায়।
অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের নূরু মিয়া (৫০), সেলিম মিয়া (২৫), মনু মিয়া (৬৫), আহাদ নূর (২০) ও শাহীন মিয়া (২৩)।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার দাতিয়াপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ফজু মিয়া ৫ বছর বয়সে একটি দূর্ঘটনায় তার দু'টি পা হারিয়ে তিনি পঙ্গু অবস্থায় জীবন-যাপন করে আসছেন।
এ অবস্থায় গত প্রায় ১২-১৩ বছর ধরে তিনি বাড়ির পাশের দাতিয়াপাড়া নতুন বাজারে থাকা নিজেদের একটি ঘরে চা-বিস্কুট ও পানের দোকান দিয়ে তিনি ব্যবসা করে আসছিলেন। ঘটনার দিন সোমবার সকালে পার্শ্ববর্তী তেলিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শহীদ মিয়া (৩২) নামে এক ব্যক্তি পঙ্গু ফজু মিয়ার দোকানে বসে চা-বিস্কুট খাচ্ছিলেন।
এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে হঠাৎ করে দাতিয়াপাড়া গ্রামের নূরু মিয়ার নেতৃৃত্বে অভিযুক্তরা ফজু মিয়ার দোকানে ঢুকে শহীদ মিয়াকে মারধর করতে থাকে। এসময় দোকান মালিক ফজু মিয়া তার দোকান থেকে বেড়িয়ে গিয়ে ঝগড়া করার জন্য নূরু মিয়া ও তার লোকজনদেরকে বলেন।
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তারা দোকান মালিক পঙ্গু ফজু মিয়াকেও মারধর করে এবং তার দোকানের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিযে যায বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
দোকান মালিক ফজু মিয়া বলেন, আমি একজন পঙ্গু মানুষ।
স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারিনা। বসে বসে এই চা দোকান দিয়েই সংসার চালাই। আমি শুধু দোকানের ভেতরে ঝগড়া না করার কথা বলাতেই তারা আমাকেও মারধর করে ৫০হাজার টাকা নিয়ে গেছে এবং ভাঙচুর করে ভেতরে থাকা মালামাল ও জিনিসের অনেক ক্ষতি করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আহাদ নূর বলেন, আমাদের সাথে শহীদ মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়েছে ঠিকই। তবে দোকানদার ফজু মিয়াকে আমরা কোনো ধরনের আঘাত করিনি বা তার কোনো ক্ষতিও করিনি।
এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, দ্রুতই বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ঘাতক সংহরণ
হাফিজুর রহমান চয়ন