
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর পিলখানার বিজিবি সদরদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই দিনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, "ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে ভারত সরকারকে নোট ভারবালের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।"
ভারতের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নিশ্চিত করেছেন যে, নয়াদিল্লি বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ সংক্রান্ত একটি নোট পেয়েছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত পরিস্থিতি
এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে চলমান উদ্বেগের বিষয়েও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বক্তব্য দেন। তিনি জানান, গত দেড় থেকে দুই বছরে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় বিজিবির আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
সরকার রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে নয়াদিল্লি। তবে ভারতীয় মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার মতো অবস্থা বর্তমানে তাদের নেই।
সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে এবং শেখ হাসিনা বিচার মুখোমুখি হতে দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুনঃ বাস মালিক সমিতির দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে ছয়দিন বাস চলাচল বন্ধ, যাত্রী ভোগান্তি
দুর্জয় বাংলা