
কেন্দুয়া-মদন সড়কের ছোটব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় জনদূর্ভোগ চরমে
নেত্রকোনার কেন্দুয়া সদর হতে মদন উপজেলায় যাওয়ার একমাত্র সড়কের কেন্দুয়ার গোগবাজার সংলগ্ন কাঞ্জারখাল
এলাকায় ১৯৯১ সনে নির্মিত ১২ ফুট বাই ৩০ ফুট একটি ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় ৮
দিন ধরে দুই উপজেলাবাসী চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বহু জায়গায় দূরপাল্লার বাসযাত্রীরা যাতায়াত করেন।
এ ছাড়াও প্রতিদিন বহু ট্রাক, ট্রাক্টর, ট্রলি,সিএনজি, ব্যাটারীচালিত
অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন কোম্পানীর পণ্যবাহী গাড়ি পণ্য সরবরাহে
যাতায়াত করে। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে ভাঙ্গা ব্রিজটির জন্য ওই সব গাড়ি বন্ধ
থাকায় ঈদে বাড়ি ফেরাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে বালু বোঝাই ভারী একটি ট্রাক পার হওয়ার সময় ব্রিজের মাঝখানটা
ধেবে ভেঙ্গে যায়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরদিন বুধবার দুপুরে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল ও উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন
ব্রিজটি পরিদর্শন করেন। তারা ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড
টানিয়ে দেন। পরে সড়ক বিভাগ হতে দুইটি লোহার পাত বসিয়ে মোটরসাইকেল,
সিএনজি, অটোরিক্সাসহ ছোট যান চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন।
এ দিকে শনিবার (১৫ এপ্রিল) নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ
আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল খবর পেয়ে
ব্রিজ পরিদর্শন করে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা এলজিইডিকে নির্দেশ দেন
এবং সংশ্লীষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ
হালকা যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। লোহার পাত বসিয়ে ব্যবস্থা করার একদিক পরই
রোববার আবার ব্রিজের মেজের ঢালাই ভেঙ্গে লোহার পাত হেলে যায়। সোমবার (১৭
এপ্রিল) বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়-ধানকাটার মেশিন নিয়ে একটি
ট্রাক্টর ব্রিজটির মাঝখানে আটকে আছে।
ফলে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রাতে ট্রাক্টরটি ব্রিজ থেকে সরানো সম্ভব হলেও যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ
ব্যাপারে মঙ্গলবার কথা হলে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন এই
প্রতিবেদককে জানান, প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের এই ব্রিজটি
১৯৯১ সনে নির্মাণ করা হয়ে ছিল। গত ১১ এপ্রিল রাতে বালিভর্তি ভারী একটি
ট্রাক ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজের মেজের ঢালাই ভেঙ্গে বড় গর্তে সৃষ্টি হয়। খবর
পেয়ে পরদিন ইউএনও স্যারকে নিয়ে পরিদর্শন করে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে
ভারি যানবাহন চলাচলে নিশেধাজ্ঞা দিয়ে আশেপাশে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিই।
এ ছাড়া সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল মহোদয়ের পরামর্শ ক্রমে ২৪ ফুট প্রসস্থ
বিশিষ্ট ডাবলভেন্ট কালভার্টের প্রাক্কলণ প্রস্তুত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে
প্রস্তাবপত্র (ইস্টিমিট) পাঠিয়েছি। সড়কের পাশ দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা প্রসঙ্গে
তিনি বলেন-এভাবে করতে হলেও ৮/১০ লাখ টাকার দরকার যা আমার দপ্তরের পক্ষে সম্ভব
নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল বলেন- মানুষের চলাচলের সুবিধার
জন্য লোহার পাত দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়ে ছিলাম এবং বড়
যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড দিয়ে
সতর্ক করে দিয়েছি। তার পর নিষেধ অমান্য করে বড় গাড়ি ব্রিজে উঠাতে এই
সমস্যা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে এবং তিনি দ্রæত সময়ের
মধ্যে বরাদ্দের জন্য লিখেছেন। এখন বরাদ্দ এলে দ্রæত ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: দেবের জন্য সময় নেই শ্রাবন্তীর
রাখাল বিশ্বাস