
ঝুঁকি নিয়ে নলগড়া ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল !
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামলাবাজ - নলগড়া এ দু গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া শয়তান খালের উপর নির্মিত ব্রীজটির দুপাশের র্যালিং ভেঙ্গে যানবাহন ও জনচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে অনুমান ১০ বছর ধরে। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে একাধিক।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নলগড়া ব্রীজটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ। উপজেলার ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের লোকজনসহ সেলবরস,জয়শ্রী,পাইকুরাটি ও চামরদানি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের হাজারো লোকজন নিত্যপ্রয়োজনে প্রতিনিয়ত এ ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করে। মালবাহী লরিগাড়ী,হ্যান্ডট্রলি ও যাত্রীবাহি ছোট যানবাহন লেগুনা ও অটো রিক্সা এ ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করে দিবারাতি।
বিগত সময়ে বেশী চাপ ছিল ধান উঠার মৌসুম বৈশাখ ও অগ্রহায়ন মাসে। ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ধান ক্রয় করে ট্রাক ও হ্যান্ডট্রলি বুঝাই করে মোকামে পাঠাত। এ ছাড়া তখন রিক্সা ছাড়া অন্য যান চলাচলের তেমন প্রচলন ছিল না। বেশী সংখ্যক মানুষ চলাচল করতো পায়ে হেঁটে।
কয়েক বছর ধরে ধান ছাড়াও গ্রামাঞ্চলে বিল্ডিং নির্মাণের কাজে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন নির্মাণসহ রাস্তাঘাটের কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী বালু, পাথর ও রড সিমেন্ট বাহী ভারী যানবাহন চলাচল করে সারা বছর। ব্রীজটি চলাচলের অযোগ্য হওয়ার পরও কোন বিকল্প উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছে এসব যাত্রীবাহী যানবাহন ও মালবাহী ভারী যান বাহন। ব্রীজের র্যালিং না থাকায় ইতিমধ্যে ব্রীজের নীচে পড়ে গিয়ে গরু ও মানুষ হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে একাধিক।
গত বর্ষাকালে বালুবাহি ষ্টিলবডি ট্রলারের ধাক্কায় মাঝখানের চারটি পিলার ভেঙ্গে দুমড়ে মুছড়ে দাঁড়িয়ে আছে কোন রকমে। এ রকম অবস্থায় ভারী যান চলাচল করতে থাকলে ব্রীজটি ধসে গিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে হতাহতের ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ফলে বন্ধ হয়ে যাবে জনচলাচল। লাগামহীন দূর্ভোগ পোহাতে হবে এলাকার হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে। ব্রীজের উপর দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন ও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টিকামনা করছে এলাকাবাসী।
ধর্মপাশা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন এর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করলেও মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায় মঙ্গলবারে তিনি অফিসে আসেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেশ চন্দ্র সরকার বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বারহাট্টায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিহত
মোঃ ইসহাক