রোববার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ৫ জুন ২০২৩

চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

দিনে ও রাতে মিলিয়ে প্রচণ্ড গরমের মাঝে ভয়াবহ লোডশেডিং বেড়ে গেছে। অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। রাতে-দিনে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামে গড়ে ৮-১০ ঘণ্টাও লোডশেডিং করা হচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় দিনে ১২ ঘণ্টাও লোডশেডিং চলছে। গ্রামের অবস্থা আরো খারাপ। একবার বিদ্যুৎ গেলে ঘণ্টা পার হলেও আসে না। আবার বিদ্যুৎ এলেও কিছুক্ষণ থাকার পরই আবার চলে যায়। এতে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা।

এদিকে গত কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিংয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। গত দুদিন আর্দ্রতা বেশি থাকায় নগরবাসী গরমে বেশ কষ্ট পাচ্ছেন। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বাড়িতেও তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। দেশজুড়ে তীব্র গরম। প্রচণ্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এর সঙ্গে দিনে-রাতে লোডশেডিং মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।

লোডশেডিং বাড়ায় মানুষের কষ্ট বেড়েছে। লোডশেডিং অসুস্থ মানুষগুলোকে মারাত্মক কষ্টে ফেলেছে। প্রবীণ মানুষের কষ্টও অবর্ণনীয়। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অবস্থাও শোচনীয়। লোডশেডিংয়ের কারণে চট্টগ্রামে শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

৪ জুন পিক আউয়ারে চট্টগ্রামে ১৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগ। পিডিবি বলেছে, ৪ জুন রবিবার পিক আওয়ারে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের সরবরাহ দেয়া হয়েছে। ৫শ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। 

চাহিদার এক তৃতীয়াংশ লোডশেডিং করার কথা পিডিবি স্বীকার করলেও বাস্তবে এর পরিমাণ আরো বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। চাহিদার অন্তত অর্ধেক বিদ্যুৎ লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, এজন্য রাতে–দিনে সমানতালে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি চলছে।

বিভিন্ন এলাকায় আধা ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। আবার কোনো এলাকায় এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিয়ে কখন আসবে তার খবরই থাকছে না। বিশেষ করে অনুন্নত এলাকা হিসেবে বিবেচিত অঞ্চলগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এছাড়া গ্রামে দিনে–রাতে বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না।

তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিশেষ করে অসুস্থ, প্রবীণ ও শিশু রয়েছে এমন পরিবারগুলোতে কষ্টের সীমা নেই। দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অনেকেই রিচার্জেবল ফ্যান, লাইট ও আইপিএস কিনছেন। এদিকে চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আবার বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাটারিও চার্জ হচ্ছে না। ফলে আইপিএস বা রিচার্জেবল ফ্যান, লাইট থেকেও পর্যাপ্ত সাপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে গত কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিংয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,তাদের ব্যাবসা বানিজ্য সবকিছুই নির্ভর করছে বিদ্যুৎতে উপর।ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। ফেইসবুকে ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেচিজনরা।

চট্টগ্রামে পিডিবির কর্মকর্তা বলেন, ন্যাশনাল গ্রিড থেকে পাওয়া বিদ্যুতেই মূলত এখন চট্টগ্রামে সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেকটা তলানিতে নেমে এসেছে। ভারী বর্ষণ না হলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুরো উৎপাদন সম্ভব নয়। গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও পুরোদমে চলছে না। এই অবস্থায় ঠিক কখন চট্টগ্রামে বিদ্যুতের যোগান স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন: বাঙালির শ্রেষ্ঠত্ব


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 808