
সিলেটে র্যাব মহাপরিচালকের ত্রাণ বিতরণ
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে র্যাব। দুই জেলার পৃথক এলাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
সোমবার দুপুরে ও বিকালে এসব এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যাক্রমে অংশ নিয়েছেন র্যাবের ডিজি (অতিরিক্ত আইজিপি) ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশীদ। এদিন দুপুরে সিলেটের জৈন্তাপুরে ত্রাণ বিতরণ করেন র্যাবের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ।
র্যাব ডিজি জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত গর্জনা এলাকায় পাঁচ হাজার পরিবার এবং সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের মাঝে র্যাব-৯ এর উদ্যোগে ত্রাণের খাদ্যপণ্য ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন, র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক প্রমুখ।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা সবাই এই ভয়াবহ বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে আছি। বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের কাছে সরকারের পাশাপাশি র্যাবও ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। ত্রাণ থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না। সব জায়গায় ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।’
র্যাব ডিজি বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিভিন্ন পানিবন্দিদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরে সহায়তা করছে র্যাব। বন্যার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য নিয়মিত টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।’
ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় র্যাবের এই ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলায় সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে র্যাব সর্বদা প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘র্যাব অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম সব সময় অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় র্যাবের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’ পরে তিনি সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায় সুরমা ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সফল অভিযানের মাধ্যমে দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল হয়েছে। যার ফলে দেশে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি এখন বিরাজ করছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. খালেদ চৌধুরী প্রমুখ।
টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল। সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি। টানা পানিবন্দি থাকায় তারা দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। বন্যায় স্বল্প আয়ের মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবার অভাবে মানুষজন নানাবিধ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউএনওর পরিকল্পনায় পাল্টে গেছে মদন উপজেলা পরিষদ চত্বরের দৃশ্যপট