নিহত সাইফুল ইসলাম সেকুল । ছবি: সংগৃহীত
দুর্গাপুর উপজেলার গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সেকুল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সে মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিল। গত ৩ আগস্ট দেশে ফিরেন। গত ০৪ আগস্ট সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয় সাইফুল ইসলাম সেকুল। গত ০৫ আগস্ট ঢাকা উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ হলে এরপরই সেখানকার লোকজন থাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে মরদেহ নিয়ে ওইদিন রাতেই গ্রামের বাড়ি ফিরে। পরদিন ০৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গুজিরকোনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত সাইফুল ইসলাম সেকুল‘র বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৪নং বিরিশিরি ইউনিয়নের বারৈইকান্দি গ্রামের মরহুম আলহাজ্ব সেকান্দ আলীর পুত্র। তার মা,দুই বোন ও ১ভাই রয়েছে। ২ বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সাইফুল ইসলাম সেকুল দ্বিতীয়।
এদিকে সাইফুল ইসলাম সেকুল‘র এমন মৃত্যুতে পরিবার,স্বজনসহ পুরো এলাকায় শোকের মাতম। গতকাল বিকেলে সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,ছেলের মৃত্যুতে পাগলের মতো প্রলাপ করে কাঁদছেন মা। বার বার কান্না আহাজারি করছেন বোনেরা। এই সময় উপস্থিত স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
কান্না জড়িত কন্ঠে নিহত সাইফুল ইসলাম সেকুল এর বড় ভাই মো. খাইরুল ইসলাম ফকির বলেন, আমার ভাইয়েরে মাইরালছে। সে আমাদের সংসারের প্রদীপ ছিলো। সে গণ অধিকার পরিষদ দুর্গাপুর থানা শাখার আহবায়কের দায়িত্বে ছিল। তাকে হারিয়ে পরিবারের বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। যে মানুষটির বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকতো পুরো পরিবার। ফেরার পথে তাদের জন্য পছন্দের জিনিস নিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিতেন সেই মানুষটি পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না অন্যদিকে সাইফুল ইসলাম সেকুলকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবার।
আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাংচুর আগুন লুটপাট অব্যাহত
কলি হাসান