বাক প্রতিবন্ধী মমতা খাতুন । ছবি: সংগৃহীত
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাক প্রতিবন্ধী মমতা খাতুন (২৪) অপহরণের ২মাস পেরিয়ে গেলেও খোঁজ মিলছে না। ঘটনার ২দিন পরই দুর্গাপুর থানায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দাখিল করেন। জিডির ঘটনাটি তদন্ত করছেন দুর্গাপুর থানার উপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন। কিন্তু গত ২মাস তদন্ত করেও কোন ধরনের ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। নিখোঁজ বাক প্রতিবন্ধি মমতা খাতুন পৌর সদরের সাধু পাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে।
কোন ধরনের প্রতিকার না পেয়ে গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে বাকপ্রতিবন্ধি মমতা খাতুনের আপন বোন খালেদা আক্তার দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের হোসেন আলীর পুত্র মোকশেদ আলী(৩৫) কে অভিযুক্ত করা হয়। এতে করে ভুক্তভোগী পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কৌতুহল জেগেছে,সে কি জীবিত আছে না কি মৃত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার দিন বাক প্রতিবন্ধি মমতা খাতুন একটি ব্যাগভর্তি কাপড়-ছোপড় নিয়ে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কের সোমেশ্বরী ব্রিজে অবস্থান করছিল। তখন ওই মুকশেদ আলী তাঁর নিজস্ব মটর সাইকেল দিয়ে উত্তরাইল বাসট্যান্ড এলাকায় বাক প্রতিবন্ধী মমতা খাতুনকে বাসে তুলে দেন। নিখোঁজের বেশকিছুদিন পর পরিবারের লোকজন অনুসন্ধান চালিয়ে এ তথ্য বের করেন। পরবর্তীতে সাধুপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগীর বাসায় মোকশেদ আলীকে নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসলে তিনি এ ঘটনার স্বীকার করেন।
বাক প্রতিবন্ধী মমতা খাতুন এঁর বোন খালেদা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বোনের খোঁজ পেতে থানা পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছি। মোকশেদ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার পরও তার বিরুদ্ধে পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তা জানি না। তিনি স্বীকার করেছেন নিজের মটর সাইকেল দিয়ে বাসট্যাÐ পৌঁছে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার (ওসি)তদন্ত মাহফুজ আলম জানান, বাক প্রতিবন্ধী মমতা খাতুন এর ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। বাক প্রতিবন্ধী মমতা খাতুন নিজে কোন ফোন ব্যবহার করেন না। এজন্যই তার লোকেশন বের করতে পারছিনা আমরা। তবে পুনরায় ওই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চেষ্টা করছি।
কলি হাসান