
ধর্মপাশায় এনজিও’র এক নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় তানজিনা আক্তার (২৩) নামে এক এনজিও কর্মীকে শ্লিলতাহানী করা হয়েছে বলে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম আলীনূর পাশা চৌধুরী অরফে মোহন(২৭)। সে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মাটিকাটা-ফুলুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর ছেলে।
ভিকটিম তানজিনা আক্তার একই গ্রামের তাহের উদ্দিনের মেয়ে। তিনি রূপসী বাংলা কর্মাশিয়াল বিজনেস নামে একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থার বাদশাগঞ্জ শাখার ফিল্ড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বুধবার দুপুরে এনজিও কর্মী তানজিনা আক্তার বাদি হয়ে তাকে শ্লীলতাহানীর দায়ে আলীনূর পাশা চৌধুরীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আলীনূর পাশা চৌধুরী (২৭) মোহন নামে ওই বখাটে বেশ কিছুদিন যাবত এনজিও কর্মী তানজিনা আক্তারকে রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় নানাভাবে উত্ত্যক্ত করাসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ওই নারী তার এসব কু-প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তিনি বিষয়টি তাঁর মা-বাবাকে জানান। পরে মেয়ের বাবা তা ওই বখাটের পরিবারকে জানান। এতে বখাটে আলীনূর পাশা মেয়েটির প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে বুধবার সকালে ওই এনজিও কর্মী তানজিনা আক্তার অফিসের কাজে পাশের গাছতলা বাজারে যান।
সেখানে রাস্তায় তাকে একা পেয়ে বখাটে আলীনূর পাশা মেয়েটিকে হাত ধরে টানা-হেঁচড়া করকে থাকে। এক পর্যায়ে সে মেয়েটিকে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় তুলে নেয়। পরে মেয়েটির ডাক-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সহায়তায় মেয়েটি ওই বখাটের হাত থেকে রক্ষা পান। পরে তিনি ওইদিন দুপুরে ওই বখাটের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ