শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক যতীন সরকার ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত ছবি: সংগৃহীত
বরেণ্য শিক্ষাবিদ-প্রাবন্ধিক যতীন সরকার এর উদ্ধৃতিই মূলত এবারের ইত্যাদির মূল প্রতিপাদ্য। তিনি হানিফ সংকেতের সাথে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত্কারে বললেন ‘ইত্যাদিতে যতগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, তা কিছুটাও যদি দর্শকের উপলব্ধিতে থাকত, তাহলে সমাজটা বদলে যেত।’
যতীন সরকার বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যা ইঙ্গিত করলেন তা বুঝতে হলে সমাজের প্রতি সঠিক অনুসন্ধানী চোখ প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে অনেকটা টি-টুয়েন্টি ম্যাচের মতো শিক্ষা ব্যবস্থাকেও শর্টকাট করে ফেলছে কেউ কেউ, করছে শিক্ষার নামে কন্টেন্ট বাণিজ্য। এবং ডিজিটাল শিক্ষকদের নিয়ে গণমাধ্যমে চর্চাও হচ্ছে প্রচুর। সেগুলো নিয়েই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিলেন যতীন স্যার ও হানিফ সংকেত।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং, মোটিভেশনাল স্পিকার, দ্রুততম সময়ে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়া নিয়ে নাটিকা দেখানো হলো- যা ছিল খুবই সময়োপযোগী। এবারের ইত্যাদির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এই দুটি। এছাড়া বরাবরের মতোই নানান, তথ্য, হিউমার, হাস্যরস আর সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে মেসেজে সমৃদ্ধ ছিল অনুষ্ঠানটি। প্রায় ৩০ টিরও অধিক বিভিন্ন সেগমেন্টে আপনাকে বুঁদ করে রাখবে এই অনুষ্ঠান।
ইত্যাদি’র শুরুটা তার স্বাভাবিক ছন্দে নেত্রকোনার ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট দিয়ে হলেও প্রতিটি সেগমেন্টেই যেন ছোট ছোট করে অনেক কথা বলে দিলেন নির্মাতা। বিশেষ করে আমাদের চলচ্চিত্রে এখন নির্মাতারা যে চলচ্চিত্রের গল্পের দিকে মনোযোগ না দিয়ে ‘চলচ্চিত্রের পাশে থাকুন, বা নানান রকম বাহুল্য ক্যাম্পেইন করেন। তা এতদিন কেউই এত সুন্দর করে দেখায়নি। ইত্যাদি দেখাল। একই সঙ্গে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন গানে বা নাটকেও একইরকম ভাবে যে কতটা স্খলন চলছে!
বরেণ্য শিক্ষাবিদ-প্রাবন্ধিক যতীন সরকার এর উদ্ধৃতিই মূলত এবারের ইত্যাদির মূল প্রতিপাদ্য। তিনি হানিফ সংকেতের সাথে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত্কারে বললেন ‘ইত্যাদিতে যতগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, তা কিছুটাও যদি দর্শকের উপলব্ধিতে থাকত, তাহলে সমাজটা বদলে যেত।’
যতীন সরকার বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যা ইঙ্গিত করলেন তা বুঝতে হলে সমাজের প্রতি সঠিক অনুসন্ধানী চোখ প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে অনেকটা টি-টুয়েন্টি ম্যাচের মতো শিক্ষা ব্যবস্থাকেও শর্টকাট করে ফেলছে কেউ কেউ, করছে শিক্ষার নামে কন্টেন্ট বাণিজ্য। এবং ডিজিটাল শিক্ষকদের নিয়ে গণমাধ্যমে চর্চাও হচ্ছে প্রচুর। সেগুলো নিয়েই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিলেন যতীন স্যার ও হানিফ সংকেত।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং, মোটিভেশনাল স্পিকার, দ্রুততম সময়ে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়া নিয়ে নাটিকা দেখানো হলো- যা ছিল খুবই সময়োপযোগী। এবারের ইত্যাদির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এই দুটি। এছাড়া বরাবরের মতোই নানান, তথ্য, হিউমার, হাস্যরস আর সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে মেসেজে সমৃদ্ধ ছিল অনুষ্ঠানটি। প্রায় ৩০ টিরও অধিক বিভিন্ন সেগমেন্টে আপনাকে বুঁদ করে রাখবে এই অনুষ্ঠান। ইত্যাদি’র শুরুটা তার স্বাভাবিক ছন্দে নেত্রকোনার ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট দিয়ে হলেও প্রতিটি সেগমেন্টেই যেন ছোট ছোট করে অনেক কথা বলে দিলেন নির্মাতা। বিশেষ করে আমাদের চলচ্চিত্রে এখন নির্মাতারা যে চলচ্চিত্রের গল্পের দিকে মনোযোগ না দিয়ে ‘চলচ্চিত্রের পাশে থাকুন, বা নানান রকম বাহুল্য ক্যাম্পেইন করেন। তা এতদিন কেউই এত সুন্দর করে দেখায়নি। ইত্যাদি দেখাল। একই সঙ্গে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন গানে বা নাটকেও একইরকম ভাবে যে কতটা স্খলন চলছে!
ইত্যাদির ভেন্যু ছিল নেত্রকোনা। শিল্প-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটি জেলা। টিলা এলাকা ঘিরে অসাধারণ সেটটি ছিল দেখার মতো। এই জেলা নিয়ে ছিল অনবদ্য একটি প্রতিবেদন। যেখানে জেলার কৃতিসন্তান শৈলজারঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, উকিল মুন্সি, যতীন সরকার, নির্মলেন্দু গুণ, হুমায়ূন আহমেদের মতো বরেণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে ছিল অনবদ্য এক অবলোকন। তবে ইত্যাদির দর্শক পর্বের প্যাটার্নটা দীর্ঘদিন ধরে একইরকম দেখছি বলে এই সেগমেন্টটি ভিন্নভাবে উপস্থাপনের দাবি রাখছি। গানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে হয় গুরু-শিষ্য’র সমন্বয়ে দারুণ এই পরিবেশনার জন্য। গুরু-শিষ্য কুদ্দুস বয়াতি ও ইসলাম উদ্দিন পালাকার এক মঞ্চে পরিবেশন করেন ‘নৌকা বাইতে বৈঠা লাগে।’ গানটির কম্পোজিশন, কোরিওগ্রাফি ছিল নজরকাড়া।
অন্যান্য সেগমেন্ট ছিল ইত্যাদির নিজস্ব ঢঙে। বিদেশি পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের রাজপ্রাসাদ ও পর্যটকদের গল্পের নান্দনিক প্রতিবেদনে প্রশ্ন জাগবে আপনার যে, আমাদের প্রাচীন নিদর্শনগুলোকে এমন করে কি আমরা সাজাতে পারি না?
ইত্যাদি’র প্রতি পর্বেই হানিফ সংকেত শেষ টেক্কাটি রেখে দেন। একটি টিভি অনুষ্ঠান তাই তখনই হয়ে ওঠে অন্য ব্যঞ্জনায়। হানিফ সংকেত বরাবরই সাদা মনের মানুষ খোঁজার কারিগর হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তেমনি এবারের পর্বের নায়ক অমলেন্দু কুমার দাশ। ভারত-বাংলাদেশের জেল থেকে দুই দেশের বন্দীদের মুক্তির পর তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেন এই মানুষটি। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজে এমন মনোবৃত্তির মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা সুন্দর।
দীর্ঘদিন ধরে এই জটিল সংকটে পড়া মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। কোনো ভিডিও কন্টেন্টের লোভ নেই! কোনো বিদেশি অর্থায়নের ফান্ড নেই, নেই কোনো বাণিজ্যিক চিন্তা, শুধুই মানুষের কল্যাণে পড়ে থাকা এই অসাধারণ ব্যক্তিকে নিয়ে প্রতিবেদনটি আবেগী করে তোলে। ইত্যাদি যেন এখানেই অন্য সবাইকেই ছাড়িয়ে যায়। মুগ্ধতা আর ভাবনার জায়গায় দর্শককে নিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ করতে যখন উপস্থাপক ‘খোদা হাফেজ’ বলেন... পরবর্তী পর্বের জন্য আকুলতা তৈরি করে।
আরও পড়ুন: নৌকা বাইছ খেলা কমিটির অনিয়মের বিরুদ্ধে ইসলামপুরে মানববন্ধন
ইত্তেফাক