
হাসনাত-সারজিসের বাসায় কোটি টাকা পাওয়ার দাবি ভুয়া
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী সংস্থা রিউমার স্ক্যানার।
রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদন অনুসারে, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়ি থেকে ২০০ ও ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার তথ্য মিথ্যা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামের একটি বক্তব্য বিকৃত করে এ ভুয়া দাবি ছড়ানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভাইরাল ভিডিওতে একজন ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, "আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চারপাশ থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।" এরপর তিনি উল্লেখ করেন, "সারজিসের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।"
তবে এ বক্তব্যের প্রকৃত প্রসঙ্গ ভিন্ন। ১৯ অক্টোবর মো. তারিকুল ইসলামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে (শিরোনাম: “অবিলম্বে হামলাকারী খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে”) ৯ মিনিট থেকে ৯ মিনিট ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত বক্তব্যের অংশ হুবহু মিলে যায়।
মূল ভিডিওতে মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, "ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এ লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। চারদিকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে। সারজিসের বাসায় ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, হাসনাতের বাসায় ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে—এমন অবিশ্বাসের রাজনীতি শুরু হয়েছে।"
তিনি এ বক্তব্যের মাধ্যমে আসলে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত করেন এবং তাদের নেতৃত্বের নৈতিক মানদণ্ডের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।
পাশাপাশি, গণমাধ্যম বা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধারের তথ্য পাওয়া যায়নি। রিউমার স্ক্যানার এ দাবিকে পুরোপুরি ভুয়া এবং ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় তরুণদের নিয়ে ইয়্যুথ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
দুর্জয় বাংলা