
মধ্যনগরে স্থানীয় দুই সাংবাদিক মারধরের শিকার
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে আল আমিন আহমেদ অরফে সালমান ও অনুপ তালুকদার নামে স্থানীয় দুই সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মধ্যনগর বাজারে একটি চায়ের দোকানের সামনে মধ্যনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক বাপ্পী হাসানের হাতে মারধরের শিকার হন ওই দুই সাংবাদিক।
এ ঘটনায় আহত সাংবাদিক আল আমিন আহমেদ অরফে সালমানকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং সাংবাদিক অনুপ তালুকদার স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত আল আমিন ওরফে সালমান দৈনিক কালের কণ্ঠ ও অনুপ তালুকদার সোনালী কণ্ঠ পত্রিকার মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধি। বৃহস্পতিবার দুুুপুরে মধ্যনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ মান্নানসহ সাংবাদিক সালমান ও অনুপ তালুকদার তাঁরা তিনজন মধ্যনগর বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় সেখানে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হামিদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম মজনু উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রায়হান উদ্দিন ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বাপ্পী হাসান সেখানে উপস্থিত হয়েই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করতে থাকেন।
এসময় সাংবাদিক আল আমিন সালমান এর প্রতিবাদ করলে রায়হান ও বাপ্পী সাংবাদিক সালমান এবং অনুপের মারধর করেন। এতে সালমান ও অনুপ আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় সেখানে থাকা উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হামিদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম মজনু রায়হান এবং বাপ্পীকে আহত সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ান।
সাংবাদিক আল আমিন আহমেদ সালমান বলেন, কিছুদিন আগে আমি মধ্যনগরের চোরাচালান নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছিলাম। এতে করে রায়হানসহ অন্যদের সমস্যা হয়েছে। তাই রায়হান ও বাপ্পী আমাদের ওপর হামলা করেছে।
মধ্যনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ মান্নান বলেন, রায়হান ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এ সময় বাপ্পীও সেখানে আসে এবং দুজনেই সালমান ও অনুপের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অভিযুক্ত রায়হান উদ্দিন বলেন, সালমান বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সামলানের অবস্থান ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে ছিল। সাংবাদিকরা থাকবে নিরপেক্ষ। এ নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি তার ওপর হামলা করিনি। সে আমার নাম বলবে না।
মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম মজনু বলেন, এ কাজটি অবশ্যই নিন্দনীয়। দল এর দায়ভার নেবে না। তবে রায়হান ও বাপ্পী সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। মধ্যনগর থানার ওসি সজীব রহমান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভালুকায় ছোট ভাইয়ের জমি দখল, রাস্তায় দেয়াল তুলে পথ বন্ধ
হাফিজুর রহমান চয়ন