সাপাহার জবই বিলে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার জবই বিলে বিনোদন ও প্রকৃতি প্রেমিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ঈদ বিনোদনের অংশ হিসেবে নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখোরীত হয়ে উঠেছে বিল এলাকার চারিপাশ।
রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষ্যে সাপাহার উপজেলার জবই বিলে ছুটে চলছে হাজারো দর্শনার্থী। হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠছে সবাই। ঈদের আনন্দে রঙিন হয়ে উঠেছে ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের মন।
প্রকৃতি প্রেমিদের ও বিনোদন প্রেমিদের আগমনের মূল নৈপত্য বা কারণ হিসাবে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুনের সবটুকুই অবদান পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রকৃতির সাথে বিলের ব্রিজ এলাকা কে নানা রঙ্গে সাজিয়ে সৌন্দর্যের ভোগবিলাসে গড়ে তুলেছে এ নির্বাহী কর্মকর্তা। ব্রিজের দুই পাশের সারি সারি পিলার গুলো ও ব্রিজকে রঙিন সাজে সাজিয়েছে শুধু তাই নয় দর্শনার্থীদের বসার জন্য গোল চত্বর ও অনেকগুলো বসার বেঞ্চ তৈরি করেছে, প্রবেশপথে একটি সেলফি পয়েন্ট তৈরি করে বিলের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি ও দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে। যেটি দেখার জন্য হাজারো দর্শক বিলে ছুটে এসেছে সেটি হল মনমুগ্ধকর মাছ চত্বর।
ঈদেরদিন দুপুরের পর থেকে শুরু হয়েছে উপচেপড়া ভিড়। ঈদের দ্বিতীয় দিন ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে প্রকৃতি ও বিনোদন প্রেমিদের উপস্থিতি এবং রাস্তার দুপাশে দোকান ও গাড়ি পার্কিং করে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনুভূতি বাড়ানো হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রের অংশ হিসেবে
বিনোদন প্রেমিদের নজর কেড়েছে। রাস্তায় হেটে, সেলফি পয়েন্ট ও মাছ চত্তরে চড়ে বিনোদন পিপাসুরা অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছে।তার সাথে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে সেলফি ও ছবি তুলে বিনোদন নিচ্ছে।
দর্শনার্থীদের অনুভূতি জানার জন্য আজ দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন সেখানে যান এবং দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের অনুভূতির কথা শুনেন।
বিভিন্ন এলাকা হতে ঘুরতে আসা অনেকে জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে এই এলাকায় একটু ঘুরতে আসা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে এসে এই প্রথম অনেক কিছু নতুনত্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। যা বিল কে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত করবে। বসার ব্যবস্থা করণ, সেলফি পয়েন্ট ও মাছ চত্তর খুবই খুবই ভালো লেগেছে যা আমাদের আনন্দ কে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা আরো জানান এগুলো তৈরিতে যার অবদান উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুনের সাথে কথা বলে জানা যায় বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পর্যটন কেন্দ্রের অংশ হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেছে। পরবর্তীতে পিকনিক স্পটের ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাফিজুল হক