
ওবায়দুল কাদের
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে বিএনপি আবারও অগ্নিসন্ত্রাসের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে। পরপর কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই। মার্কেটে কি আগুন লেগেছে না কি লাগানো হয়েছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বুধবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সম্পাদকম-লীর ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশী-বিদেশী যে বা যারা কোনো কারণ ছাড়াই শেখ হাসিনাকে অন্যায়ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে উৎখাত করতে চায়, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ২০০৬-০৭ কিংবা ওয়ান-ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেব না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও আগুন। এটা তদন্ত করা হচ্ছে, আগুন লেগেছে না কি আগুন লাগানো হয়েছে। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপোসহীন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই।
রাতের অন্ধকারে বিএনপি বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিএনপি যত ধরনের অপচেষ্টা করার তা-ই করছে। অগ্নিসন্ত্রাস কিংবা কালো ছায়া যেন বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আগুন নিয়ে খেলছে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। দেশের মার্কেটগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপোসহীন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা আছে।
১৩-১৪-১৫ সালের মতো পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মানববন্ধনে জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি। জনগণ তাদের (বিএনপি) ডাকে সাড়া দেয়নি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপির মাথাচাড়া দিয়ে উঠা অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করা হবে। আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কেও কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও ফরমায়েশি গণতন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি ইইউ, মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন হবে সংবিধান মাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যত বাধাবিপত্তি আসুক আমরা প্রতিহত-প্রতিরোধ করব। দেশব্যাপী অসাম্প্রদায়িক শক্তির ঐক্যের ডাক দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চায় দেশে অস্বাভাবিক সরকার আসুক। তারা আবারও আগুন নিয়ে খেলা শুরু করল। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
সভায় সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, শাজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাটার চিকেন তৈরির রেসিপি