দুর্গাপুরে লাশবাহী অটোভ্যান তৈরী করে দিলেন ওসি উত্তম চন্দ্র দেব
নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লাশবাহী একটি দৃষ্টিন্দন অটোভ্যান তৈরী করে তাক লাগিয়ে দিলেন জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। থানায় আগত সেবা প্রার্থীরা ওই অটোভ্যানটি চুকে পড়তেই কাছে গিয়ে দেখার ইচ্ছা পোষণ করছে। বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) বেলা ২টার দিকে থানা চত্বরে সরেজমিন গেলে এমন চিত্রই দেখা মেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নানা সময়ে ঘটে যাওয়া অপমৃত্যুর লাশ টানা হতো খোলা অটোভ্যান গাড়ি করে। লাশটি নিয়ে যখন রাস্তায় চলা হতো, অনেক সময় শিশু-কিশোর বয়সীরা ভয় পেতো। গ্রামীণ রাস্তায় লাশটি দেখতে অনেক লোকজন ভীড় করতো। অনেক সময় লাশ অর্ধগলিত/ পরিত্যক্ষ পাওয়া যেত। সেই লাশগুলি নিরাপদ স্থানে পরিবহন করা,সুরতহাল তৈরী করা,ময়নাতদন্ত করা,জেলা সদরে যাতায়াত সত্যিই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তো।
লাশ পরিবহনের কাজ সহজীকরণ করার জন্য সম্প্রতি দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব দৃষ্টিন্দন লাশবাহী গাড়ি তৈরী করে দিলেন। যেটি অত্যন্ত পরিবেশ ও মানসম্মত। লাশবাহী গাড়িটির ভিতরে ফোমের বেড প্লাষ্টিক ব্যাল্ট দিয়ে আটকানো হয়েছে। যাতে লাশটি পরিবহনের সময় নড়াচড়া করতে না পারে। নিরাপদে গ্রাম থেকে জেলা সদরে লাশ নিতে এখন আনন্দ উচ্ছ¦াস এর সাথে কাজ করছেন দায়িত্বে থাকা আব্দুল খালেক।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদককে আব্দুল খালেক জানান, খোলা ভ্যানগাড়ি নিয়ে লাশ পরিবহন কাজটি ছিল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ। সম্প্রতি দুর্গাপুর থানার ওসি স্যার উনার নিজস্ব তত্বাবধানে লাশবাহী গাড়িটি তৈরী করে দিলেন। কাজ করে যেমন শান্তি পাচ্ছি,তেমনি চলার পথে উৎসুক মানুষের কৌতুহল। কী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এটার ভিতর। সুন্দর এই উদ্যোগটির জন্য স্যারকে অনেক ধন্যবাদ।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) উত্ত চন্দ্র দেব এঁর নিকট দৃষ্টিন্দন লাশবাহী অটোভ্যান তৈরীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সত্যিকার অর্থে প্রচার বিমূখ মানুষ। কাজ করতে পছন্দ করি। যতক্ষন না পর্যন্ত কাজটি গোছানো হচ্ছে না,ততক্ষণ পর্যন্ত আমি চেষ্টা করি। ওই যে চেষ্টা টুকুই আমার বড় অর্জন। থানায় দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই লাশবাহী গাড়িটি ভিন্নতা আনার
জন্য চেষ্টা করছিলাম। তবে চেষ্টা করেছি,কতটুকু করতে পেরেছি জানিনা।
আলাপচারিতায় তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের দিক নির্দেশনায় ও দুর্গাপুর সার্কেল এঁর পরামর্র্শক্রমে দুর্গাপুরকে মাদকমুক্ত করতে দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। উপজেলাবাসীকে অনুরোধ করবো মাদকের বিষয়ে সর্বাত্বক সহযোগিতা করার জন্য।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটির মেয়র
কলি হাসান