ধর্মপাশায় জলমহালের দখল না পেয়ে দিশেহারা ইজারাদার

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চটাবিল গ্রুপ জলমহালটি রহস্যজনক কারণে ইজারাদারকে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  সোমবার দুপুরে ওই জলমহালের ইজারাদার উপজেলার জয়ধনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হারুন মিয়া বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগটি দাযের করেছেন।

তার দায়েরকৃত অভিযোগে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে দায়ী করেছেন তিনি। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইর-রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নাধীনে থাকা ২০ একর অনুর্ধ্ব চাটলার বিল গ্রুপ নামে একটি জলমহাল রয়েছে ।  মুক্তারপুর মৌজাস্থ ১০২, ৬৩, ১০৭৬ ও ১১১৩ নম্বর ৪টি হাল দাগে মোট ১৬ একর ৪৮ শতাংশ জায়গা নিয়ে এ জলমহালটির অবস্থান।

সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯ এর আলোকে উপজেলার অনুর্ধ্ব ২০ একর পর্যন্ত বদ্ধ জলমহাল ইজারা প্রদানের লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ১৪৩০ বাংলা সনের ফাল্গুন মাসের প্রথম দিকে উক্ত জলমহালটি ৩ বছর মেয়াদে ইজারা দেওয়ার  জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়।  

দরপত্র অনুযায়ী  উক্ত জলমহালটি উপজেলা জয়ধনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. হারুন মিয়া বাৎসরিক ২১ হাজার টাকা ইজারামূল্যে ১৪৩০ বাংলা সন হইতে ১৪৩৩ বাংলা সন পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হন। পাশাপাশি তিনি জলমহালটির ইজারা মূল্যও যথারীতি পরিশোধ করেন। কিন্তু ইজারাদার গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে জলমহালটির ইজারা মূল্যের সাকুল্য  টাকা পরিশোধ করে দিলেও রহস্যজনক কারণে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ইজারাদারকে ওই জলমহালের দখল বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এতে করে জলমহালটি নিয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ইজারাদার। 

ইজারাদার হারুন মিয়া বলেন, মূলত আমার জলমহাল লাঘুয়া ধানকুনিয়া নামক জলমহালের প্রভাবশালী ইজারাদার দেলোয়ার হোসেনকে লাভবান করার জন্যই  উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা আমার বৈধভাবে পাওয়া জলমহালটির দখল আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এ আমিসহ আমার সমিতির লোকজন অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) অলিদুজ্জামান বলেন, পার্শ্ববর্তী দুইটি জলমহালের সীমানা নির্ধারন নিয়ে জঠিলতা রয়েছে। এ কারণেই ইজারাদারকে তার ওই জলমহালটির দখল বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদন জানিয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মোহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দ্রুতই এ বিষয়টির সমাধান করা হবে।

আরও পড়ুন: চোরাই গরু উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের মামলা: ২জন কারাগারে