
ঠাকুরগাঁওয়ে বইছে আগাম শীতের আমেজ
উত্তরে বইছে শীতের আমেজ। পরতে শুরু করেছে কুয়াশাও। অন্যদিকে শীতের আমেজে ফুটে উঠছে, আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়িত ঐতিহ্যের রূপও।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ঠাকুরগাঁও সহ উত্তরের সব জেলাতেই শীতের এমন আগমনী বার্তায় শীত নিবারণে প্রস্তুতি নিলেও শুরুতেই শীত নিবারণে হিমসিম খাচ্ছে, হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ।
গত কয়েক রাত থেকে অনুভূত হচ্ছে শীত। হঠাৎ এ শীত মোটা কাপড় ও কাঁথা মোড়াতে বাধ্য করেছে। দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর শীত অনুভব হচ্ছে। ভোরের আবহাওয়াও বেশ ঠাণ্ডা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রকৃতিতে এখন চলছে হেমন্তকাল। শীত আসতে আরও দিন দশেকের মতো বাকি থাকলেও এবার আগাম এসেছে শীত। দিনে রোদের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই পড়তে শুরু হচ্ছে, হালকা কুয়াশা। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশাও বাড়ছে। ভোরে হালকা কুয়াশার চাদর ভেদ করেই উঁকি দিচ্ছে সূর্য আলো।
আবহাওয়া মতে, সন্ধ্যার পর থেকেই তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে। তাই, একটু আগে-ভাগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে সূর্যের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে আসছে। রাতে কুয়াশাও পড়ছে।
এদিকে শীতের আমেজে ফুটে উঠছে, আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়িত ঐতিহ্যের রূপ। ভোরের আলোয় ঘাস,ফুল আর লতাগুল্মে শিশি’র বিন্দু করছে,মুক্তোদানার মতো চিক চিক। কুয়াশায় উঁকি মারছে সকালের সূর্য। বাজারে উঠছে,নিত্য-নতুন শীতের সবজি।
ফসল উৎপাদনে কাঁধে লাঙ্গল আর জোয়াল নিয়ে মাঠে ছুটছেন কৃষক। চলছে, আমন ধান কাটা-মাড়াই আর ঝাড়াই উৎসব। ভাপা পিঠা আর চিতোই পিঠা বানানো এবং খাওয়ার ধুম চলছে সমান তালে। এরই মাঝে কুয়াশায় লুকো-চুরি খেলতে খেলতে উদিত হচ্ছে সূর্য।
কাক-পক্ষীর পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও স্বাদ নিচ্ছে খেজুর রসের। শীত নিবারণে কেউ তৈরি করছে কাঁথা,কেউ লেপ-তোষক।আবার খর-কুটো জ্বালিয়েও কেউ শীত নিবারণের করছে, প্রচেষ্টা। এমনই দৃশ্য এখন প্রতিনিয়ত পড়ছে চোখে উত্তরাঞ্চলের গ্রাম-বাংলায়।
আব্দুল আউয়াল