
কেন্দুয়ায় যাত্রীবেশে চালককে খুন করে অটোরিক্সা ছিনতাই
যাত্রীবেশে অটোরিক্সা চালককে খুন করে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বকুল মিয়া ও জিয়া রহমান নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সেই সাথে ইটনা উপজেলার রায়টুটি ইউনিয়নের কানলা গ্রামের একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অটোরিক্সাটিও।
পুলিশ জানায় বকুল মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামে। জিয়া রহমানের বাড়ি কিশোগঞ্জের ইটনা উপজেলার রায়টুটি ইউনিয়নের কানলা গ্রামের।
গ্রেপ্তারকৃত জিয়া রহমানকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) কামাল আহম্মেদ।
আগামীকাল রোববার রিমান্ডের আবেদনের শুনানী হতে পারে। গোলাম রব্বানীর খুনের পর থেকেই সন্তান ও বৃদ্ধ শাশুড়ি নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন স্ত্রী নার্গিস আক্তার। সংরারের প্রতিদিনের খরছ মিঠিয়ে ঋণের কিস্তির টাকা যোগার করতে বন্দী এই অসহায় পরিবারটি।
গত ২৮ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে চারজন যাত্রী বোঝাই করে আঠারবাড়ী রায়বাজার থেকে ফেনারগাতী যাচ্ছিলেন অটোরিক্সা চালক গোলাম রব্বানী । কিন্তু ফেনারগাতী যাবার আগেই যাত্রীবেশী র্দুবৃত্তরা গোলাম রব্বানীকে খুন করে অটোরিক্সাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরদিন ২৯ অক্টোবর গোলাম রব্বানীর ভাগিনা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিন শেষ রাতেই পুলিশ বকুল মিয়ার বাড়ির পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায় বকুল মিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে জিয়া রহমানকে তার বাড়ির পাশ থেকে গ্রেপ্তার করে। একই সাথে জিয়া রহমানের গ্যারেজ থেকে অটোরিক্সাটিও উদ্ধার করে। এদিকে স্বামী গোলাম রব্বানীকে হারিয়ে অসহায় হয়ে যান স্ত্রী নার্গিস আক্তার। তিনি বলেন আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
আমার স্বামী অটোরিক্সা চালিয়ে প্রতিদিন যে টাকা উপার্জন করতেন তা দিয়েই আমাদের সংসার চলতো। দেওয়া হত ঋণের কিস্তির টাকা। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই দুচোখে অন্ধকার দেখছেন নার্গিস আক্তার। তিনি সরকারের নিকট আর ঋণের টাকা পরিশোধ ও সংসার পরিচালনার জন্য চান আর্থিক সহয়তা।
নার্গিস আক্তার জানান আমার বৃদ্ধ শাশুড়ি ও দুই সন্তান আছে। কেউই কর্ম করতে পারেনা। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মানবিক সহয়তা দিকে একটি আবেদন নিয়েছেন। তবে সে সহয়তা এখনো পাননি। নার্গিস আক্তার বলেন সন্তানদের বরন পোষন করতে আমাকে যদি সরকার সাহায্য না করেন আমার জীবনে বেচেঁ থাকাই কঠিন হবে।
আরও পড়ুনঃ ঝিনাইগাতীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা