রোববার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

ময়মনসিংহ রেল স্টেশনে সিলিন্ডার গ্যাসের দোকান

কে এই আলম চাঁদাবাজীর মূলহোথা?

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কে এই আলম চাঁদাবাজীর মূলহোথা?

কে এই আলম চাঁদাবাজীর মূলহোথা?

ময়মনসিংহ রেল স্টেশনে সিলিন্ডার গ্যাস; কে এই আলম চাঁদাবাজীর মূলহোথা? গ্যাস সিলিন্ডার চালিত দুটি, লাকড়ীর চুলা এক‌টি, কয়েল লাকড়ীর চুল্লী রয়েছে অনুমান ৮টি, এসকল চুল্লীর দোকানে চা পুড়ি সিঙ্গারা তৈরী করে যাত্রীদের ভোজন বিলাশের ব্যবস্থা করা হয়। রেল স্টেশন এলাকার ভিতরে ও বাহিরে দেড় শতাধিক বিভিন্ন আইটেমের অবৈধ দোকান ও স্থাপনা গড়ে উঠেছে, কতিপয় দোকান, হোটেল এর জায়গা আবেদিত বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সরেজমিনে দেখা যায় ময়মনসিংহ রেল স্টেশনের ২নং প্লাটফর্মের ভিতরে আলম মিয়া ও তার আত্বিয়ের দুটি দোকানে পুড়ি, সিঙ্গারা তৈরির জন্য বিপদজনক গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। মৃত্যুর ঝুকিতে রয়েছে যাত্রী সাধারণ।

এছাড়াও আরো ৮টি কয়েল লাকড়ীর চুল্লী চালিত চায়ের দোকান রয়েছে। পান সিগারেট, চানাচুর, বাদাম, বিস্কুট,  ঝালমুড়ি কলা রুটির দোকান ছাড়াও ভাসমান হকার তো অসংখ্য। এসকল দোকান ও হকারদের কাছ থেকে প্রকার ভেদে দৈনিক ১০০ থেকে ৫০ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে থাকে আলম মিয়া ও মিনার। সচেতন মহলের প্রশ্ন, অনুমান দেড় শতাধিক দোকানের উত্তেলিত চাঁদার টাকার ভাগভাটোয়ারা যায় কোথায়?

এসকল টাকার খাত স্টেশন সুপারেন্ডেন, রেলওয়ে থানা ও টিআইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিতে হয় এবং বিভিন্ন অবৈধ দোকান ও হকারদের কাছ থেকে লক্ষাধিক চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। 

অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান গুলো এবং দোকানের চারপাশে বোতল জাত পানিয় মালামাল প্লাটফর্ম এর জায়গা দখল করে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন স্টলে প্রিমিয়াম লাইসেন্স ছাড়াও নিয়মিতভাবে নানা প্রকার অস্বাস্থ্যকর খাদ্য দ্রব্যাদি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন বিহীন বিস্কিট ত্রুটি ও প্রসাধন সামগ্রী বিক্রয় করা হচ্ছে। 

মাঝেমধ্যে স্টেশনের উর্ধতন কর্মকর্তা লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে এর আগেই সকল দোকানদারদের সতর্ক করে দেওয়া হয় বলে ব্যপক জনশ্রুতি রয়েছে। স্টেশন এলাকার প্রায় এক কিমি জুরে অবৈধ স্হাপনায় ও প্রতিটি দোকানে রেলওয়ে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ থাকায় সরকারের অর্থ ও বিদ্যুতের অপচয় ঘটছে। এসকল সমস্যার সমাধানের দায় কার? সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন মহল।

আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মদিন পালিত


Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 808