দুর্গাপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে!
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আদালতের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করে করে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে মুজিবনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ঐ ভূক্তভোগী পরিবার। চরম আতঙ্কের মধ্য দিন কাটছে ঐ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যগনের।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের গাঁওকান্দিয়া বাজারস্থ এলাকায় গত রোববার(২২ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে। ওই জায়গাটি নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত দুর্গাপুর চৌকিতে মামলা চলমান রয়েছে। ওই জায়গাতে দীর্ঘদিন যাবত দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে আসছে ভূক্তভোগী পরিবার। শনিবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানান ভুক্তভোগী গাঁওকান্দিয়া গ্রামের মৃত জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র সরকার এর ছেলে বিশ্বজিত চন্দ্র সরকার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,বিশ্বজিত চন্দ্র সরকার,সঞ্জিত চন্দ্র সরকার ও দীপক দে গত বছরের জুলাই মাসের ৫ তারিখ ৫৯ শতাংশ ভুমি সাফ কাওলা মূলে দলিল সম্পাদন করেন। বিশ্বজিত ও দীপক দে পৈত্রিক উত্তরাধীকার হিসেবে ওই দখলকৃত সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিল। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ৫৯ শতাংশ ভুমি ৬লক্ষ টাকা মূলে বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক শাহজাহানের কাছে। ৫৯ শতাংশ ভুমি উল্লেখ না করিয়া দাগ নং ২১৮৬ ও ২১৮৮,বিআরএস ২৭৭৩ দাগে শ্রেণি নামা ৭১ শতাংশের কাত ১৬ শতাংশ এবং দাগ নং এসএ ২১৮৪,বিআরএস ২৭৭৬ দাগে শ্রেণি কান্দা৩৭ শতাংশের কাত ২শতাংশ এবং দাগ নং এসএ ২১৯২,২১৮৭,২১৮৮, বিআরএস ২৭৮২ দাগে শ্রেণি কান্দা ২৫৮ শতাংশের কাত ৪১ শতাংশ মোট ৫৯ শতাংশ উল্লেখ না পূর্বক দলিল লিখককের কারসাজি ও চক্রান্ত করে কোনরুপ চৌহদ্দির বিবরণ না লিখে লিখা দলিলটি পাঠ না করেই সবকিছু মেনেজ করে রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করে নিয়ে যায়।
দলিল নং ৩০০৩। ওই ৫৯ শতাংশ ভুমির মধ্যে ৩৪ শতাংশ ভুমি ২০১৭ সালে ১১১৮নং দানের ঘোষণা দলিল মূলে বিশ্বজিত চন্দ্র সরকার প্রাপ্ত হন এবং ইন্দ্রজিত সরকার ২০১৮ সালে ১৩৬৯ নং দানের ঘোষণা দলিল মুলে মালিকানা হন। সঞ্জিত চন্দ্র সরকার বিক্রিত ১০ শতাংশ ভুমির কোনদিন মালিকানা ছিল না। ওই প্রধান শিক্ষকের সাথে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া দলিলে সাক্ষর করেন সঞ্জিত সরকার। ওই ভুয়া দলিলটি সংশোধন বাবদ ৬লাখ টাকা দাবী ঘোষণা দিয়ে মোকাদ্দমা দায়ের করেণ। মামলা নং-৩৮০/২০২৩ইং। ভুক্তভোগী বিশ্বজিত চন্দ্র সরকার কোন উপয়ান্তর না পেয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত দুর্গাপুর চৌকিতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। যার মোকাদ্দমা নং ৩৯৮/২০২৩ইং।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শাহজাহান বলেন, আমি সাফ কাওলা জমিতে ঘর বাঁধতে চেয়েছি। দুর্গাপুর থানার তদন্ত ওসি নূরুল আলম জানান, এ বিষয়ে বিশ্বজিত থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরও পড়ুন: বারহাট্টায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত