১৫ টাকা কেজি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে ২৬ থেকে ২৮ কেজি করে চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে।
খাদ্য অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর বাজারে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) হতদরিদ্রদের মাঝে চালের ডিলারের চাল বিতরণে এমন ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, মোহাম্মদ নগর বাজারের ডিলার মোঃ দিদারুল আলম টিটু চোরা মজিকে দিয়ে চাল ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কালে ৩০ কেজির বদলে ২৬ থেকে ২৮ কেজি করে চাল দেওয়ার বিষয়টির অভিযোগ করে দরিদ্র কার্ডধারীরা।
ওজনে চাল কম পাওয়া মোহাম্মদ নগরের মোঃ রফিকুল ইসলাম (কার্ডধারী) অভিযোগ করেন, আমরা গরিব মানুষ। সরকার আমগোরে সস্তায় ১৫ টেহা কইরা ৪৫০ টেহায় ৩০ কেজি চাইল খাওয়াইতাছে। আঙ্গরে হাতে বস্তা দিয়া দেয়, আরেক দোহানো মাইপ্পা দেহি ডিলাররা ২৬ কেজির ওপরে চাইল দেয়নি, আইয়া কিছু কইলেই ধমক দেয়। বেশি কিছু কইলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেয। চাল কম দেওয়ার বিষয়টির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ডিলার দিদারুল আলম টিটু বলেন, চাল খাদ্যগুদাম থেকেই আমাদের কম দিয়েছে, বস্তায় যা আছে আমরা তাই দিয়েছি।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম অবহিত হলে ফুলবাড়িয়ার খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেব ব্রত বিশ্বাস ও খাদ্য পরিদর্শক নাজমুন নাহার ঘটনা স্থলে গিয়ে চাল কম দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পান। এবং বলেন ইউএনও স্যারকে জানানো হবে।
সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার তিনদিনের দ্বিতীয় দিন চাল বিতরণকেন্দ্র সরেজমিন দেখতে গেলে মোহাম্মদ নগর বাজার কেন্দ্রে অনিয়মের প্রমাণ মেলে। দেখা যায়, ওজনের চাল কম পাওয়ায় বাইরে হট্টগোল পাকাচ্ছে দরিদ্র কার্ডধারীরা। মোহাম্মদ নগর বাজারের চাল বিতরণকেন্দ্রে পাওয়া যায়নি কোনো ওজন মাপার মেশিন।
উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, আমি চাল নেওয়ার সময় ডিলারদের বলে দিই ওজন দিয়ে চাল নেবেন। কোনো ছেড়া বস্তা থাকলে জানাতে বলেছি। অফিসের তথ্য মতে মোট কার্ডধারীর সংখ্যা ৫০২ জন, সোমবার ৩৭৮ জন কার্ডধারীকে চাল দেওয়া হয়েছে, মঙ্গলবার ১০৩ জন কার্ডধারীকে চাল বিতরণে অনিয়ম পায় এবং সরজমিনে ২১ টি বস্তা পায়।অফিস থেকে অনিয়মের অভিযোগটি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। স্যার ব্যবস্থা নিবেন।