গৌরীপুরে দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর মইলাকান্দা ইউনিয়নের নামাপাড়া কেরামতিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মাদ্রাসার দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছে উক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দ।
গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহমেদ বরাবর দাখিল কৃত অভিযোগ থেকে জানা গেছে উক্ত মাদ্রাসার সুপার মাকসুদুল জাহান মোঃ নুহু মিয়া মাদ্রাসার প্রতিবন্ধি ভাতা পঞ্চাশ হাজার ও শিক্ষকদের টিউশান ফি বাবদ ছাপান্ন হাজার ছয় শত দশ টাকা অগ্রণী ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্বসাৎ করেছেন। তাছাড়া তিনি মাদ্রাসার পুরাতন বহি বিক্রর ছৌত্রিশ হাজার টাকাসহ মোট এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা আত্বাসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার ৭ অক্টোবর সরজমিনে গিয়ে মাদ্রাসার সুপার মাকসুদুল জাহান মোঃ নুহু মিয়ার সাথে আলাপ হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রণোদনার সেকেন্ডারী এডুকেশন ডেভলাপমেন্ট প্রোগ্রাম SEDP আওতাভূক্ত P.B.G.S.I স্কিমের প্রণোদনা বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়ে অগ্রণী ব্যাংক ময়মনসিংহ শাখার মাদ্রাসার ০২০০০০১০২৭৮ হিসাবে জমা হয়েছে।
মাদ্রাসায় কোন প্রতিবন্ধী ছাত্রী না থাকলেও উক্ত বরাদ্দকৃত পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করেন সুপার ও কমিটির সভাপতি মন্জুর আহমেদ বাহার। যা সম্পূন্ন বিধি বহিরভুত। জানাগেছে কোন প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী যদি না থাকে তাহলে বরাদ্দকৃত প্রতিবন্দী ভাতার টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত যাবে। কিন্ত এ প্রতিষ্টানের উক্ত টাকা উত্তোলন করে সুপার তা আত্বসাৎ করেছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন সহকারী শিক্ষক মন্ডলী। ২০২২ সাল থেকে মাদ্রাসার স্বীকৃৃতি নবায়নসহ কমিটি মেয়াদ শেষে হলেও তা নাবায়ন ও কমিটির অনুমোদন আনার সুপারের অনআগ্রহের ফলে প্রতিষ্টানটি অধিকতর ঝুকির মধ্যে রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয় জানতে মাদ্রাসায় সরজমিনে গিয়ে সুপারের কাছে জানতে চাইলে টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন উক্ত প্রতিবন্ধীর টাকা মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে। কিন্ত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের টাকা এখনও কেন হাতে রেখেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্ষার জন্য কাজ করতে পারছিনা। টিউশান ফি টাকা শিক্ষকদের মাঝে কেন বিতরন করা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন শিক্ষকদের মাঝে টিউশান ফির টাকা বিতরন করা হয়েছে।
অভিযোগ কারী ১৫ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা দায়েরকৃত অভিযোগ বিষয়ে বলেন অফিস সহকারী মোঃ হুমায়ুন কবির ও সাবেক সভাপতি মন্জুর আহমেদ বাহারের যোগসাজশে সুপার অর্থ আত্বসাৎ করেন। যা অভিযোগ তদন্ত করলেই এর সত্যতা বের হয়ে আসবে। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহমেদ বলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেলে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মদনে ভাতিজা কর্তৃক চাচাকে প্রাণনাশের হুমকি: থানায় অভিযোগ
হুমায়ুন কবির/গৌরীপুর