![সম্ভাব্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় সম্ভাব্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়](https://www.durjoybangla.com/media/imgAll/2023November/Kendua-Government-College-2404221436.jpg)
কেন্দুয়া সরকারি কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
আগামী মে মাসেই অবসর নিতে যাচ্ছেন কেন্দুয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ উত্তম কুমার কর। এরপর ওই শূন্যপদ পূরণের জন্য যদি মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষ পদে কোন যোগ্য ব্যক্তিকে না দেওয়া হয় তবে কেন্দুয়া সরকারি কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার হতে পারেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে যোগদানের আগেই এই শিক্ষককে নিয়ে কলেজের ভেতর ও বাইরে সহ সব মহলে চলছে নানা মুখি আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
আলোচনা এমনও হচ্ছে যদি জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে ছাত্র-শিক্ষক ও সুশিল সমাজের লোকদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি গড়ে তোলা হবে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কলেজের শিক্ষক সমাজের পক্ষে অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার বিএনপি জামাত জোটের রাজনীতির সাথে জড়িত। এখনও তিনি সেই ধারাতেই আছেন।
তিনি কলেজে অনেক ভালো কর্মকান্ডে কখনো কখনো বাঁধার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সমালোচনা করেছেন কলেজ ও সরকারের। রাজশাহী বিদ্যালয় অধ্যায়ণকালীন সময়ে তিনি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথেই ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার বলেন, উত্তম কুমার কর অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসরে গেলে যদি মন্ত্রাণালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেন সে ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষের সিরিয়ালে আমার নামটি আসে। তাই যারা আমাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন তা প্রতিহিংসা পরায়ণ।
মূলত আমি আওয়ামীলী, বিএনপি ও জামায়াত কোন রাজনৈতিক দলের সাথেই জড়িত না। যারা আমাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেন তারাই প্রমাণ করুক আমি কোন দল করি ? অধ্যক্ষ উত্তম কুমার কর বলেন, আগামী মাসে আমি অবসরে যাব। অধ্যক্ষ পদে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটা মন্ত্রাণালয়ের কর্তৃপক্ষ ভালো জানেন। আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই। তবে এখানে যদি পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে ধারাবাহিক নিয়মে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হবে। সেই নিয়োগে আমার কিছু করার থাকবে না।