
বই উৎসবে আংশিক নতুন বই, অনেকের মন খারাপ
জানুয়ারীর প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় প্রাণের বই উৎসব। নতুন বই হাতে পেয়ে সব ছাত্র/ছাত্রীদের মন আনন্দে ভরে উঠে। বুধবার জানুয়ারীর প্রথম দিন অনুষ্ঠিত বই উৎসবে কেউ কেউ পেলো আংশিক নতুন বই। যারা পেলো তারা খুশি। আবার অনেক ছাত্র/ছাত্রীই না পেয়ে মন খারাপ।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে ১ জানুয়ারী বুধবার বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয় । দুপুরে সাজিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বই তোলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার।
এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তাফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ভূইয়া সহ স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিতরণ কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থীরাই বই হাতে পাবে। এজন্যে একটু সময় মেনে নিতে হবে।
অপর দিকে পৌরশহরের সায়মা শাহ্জাহান একাডেমি ও সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বই তোলে দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকার্তা সাইফুল ইসলাম। ১ জানুয়ারী বই উৎসবে ষষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে বই বরাদ্দ আসে ৫ হাজার ৫শ, টি এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের বই বরাদ্দ আসে ৫ হাজার ২শ, টি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকার্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির সব বিয়ষে বইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়ে ছিল ৬০ হাজার ৫শ, সপ্তম শ্রেণির ৫৭ হাজার ২শ, অষ্টম শ্রেণির ৫৭ হাজার ২শ, নবম শ্রেণির ৫৩ হাজার ৯শ এবং দশম শ্রেণির ৫২ হাজার ৮শ।
কেন্দুয়া উপজেলার ৩৭ টি বিদ্যালয়ের সব ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে বই উৎসবে বিতরণের জন্য মোট চাহিদা পাঠানো হয়েছিল ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৬শ, টি। কিন্তু সেই চাহিদার তুলনায় ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বইয়ের বরাদ্দ আসে ৫ হাজার ৫০০ টি এবং অষ্টম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বইয়ের বরাদ্দ আসে ৫ হাজার ২০০ টি।
জানতে চাইলে বই উৎসব বিষয়ে গন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দিলোয়ার হোসাইন বলেন ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৩ বিষয়ের বই বরাদ্দ পেয়ে গতকাল বুধবারই আমরা বিতরণ করেছি। যারা নতুন বই হাতে পেয়েছে তাদের মন খুশি কিন্তু যারা পায়নি তারা স্বাভাবিক কারণেই মন খারাপ করেছে।
তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বলা হয়েছে, বাকি বই জানুয়ারীর মাসের মধ্যেই পেয়ে যাবো। এই ভাবেই বই উৎসব ও বরাদ্দ সর্ম্পকে মন্তব্য করেন বাশাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক শিক্ষক বলেন বই উৎসবের দিন অন্যান্য বছর সব শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠে। কিন্তু এবার চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ খুবই কম থাকায় এবার বই উৎসবে আনন্দ এবং নিরানন্দ দুটোই আছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের ভাষা কেন্দ্রীয় ভাবে বই ছাপানোর অপ্রতুলতার কারণে আমরা চাহিদা মোতাবেক বই পাইনি। ষষ্ঠ ও অষ্ঠম শ্রেণির যেসব বই বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা ১ জানুয়ারীর বই উৎসবে শতভাগ বিতরণ করা হয়েছে। যেসব ছাত্র/ছাত্রীরা বই পায়নি কেন্দ্র থেকে বরাদ্দ পেলেই আশা করছি জানুয়ারী মাসের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীদের হাতে বই তোলে দিতে পারব।
সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা