শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৪ মে ২০২৩

ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী

বাংলা উপন্যাসের জনক প্রখ্যাত সাহিত্যিক বষ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় যথার্থই বলেছেন, আমরা বাঙ্গালী জাতি বিস্মৃতিপ্রিয় জাতি। আমরা নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন নই। আমাদের ইতিহাস আছে কিন্তু আমরা তা লিখে রাখিনা। বাঙ্গালী জাতির জীবনে সবচেয়ে করুন এক সত্যের নাম বিস্মৃতি।

১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা অর্জন হাজার বছরে শ্রেষ্ঠতম অর্জন। আর এই বাঙ্গালী জাতির রক্তের দামে অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাস আমরা ভুলে যেতে বসেছি। আত্মভোলা জাতি হিসেবে এই কলংকের ট্র্যাজেডি থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে। নতুবা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে সত্য-মিথ্যার যে ক্রান্তিকাল আমাদেরকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে তা থেকে আমরা কোন দিনও মুক্তি পাবনা।


মানুষ হলো ইতিহাসের বিষয়বস্তু। আর মানুষের সমাজ, সভ্যতা ও জীবনধারাই হলো ইতিহাস। এই ইতিহাস চর্চা জাতিকে আত্মপ্রত্যয়ী ও মানবমুখী করে তোলে। খন্ডিত ও বিকৃত ইতিহাস জাতিকে বিভ্রান্ত করে। তাই দেশ ও জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হলে, ইতিহাসকে হতে হবে সত্যসন্ধানী, তথ্যনির্ভর, বস্তুনিষ্ঠ ও যুক্তিনির্ভর। তাই বাংলার গণমানুষের অংশগ্রহণে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যেমে অর্জিত স্বাধীনতার সংগ্রামের ইতিহাসকে পাদ-প্রদীপের আলোয় আনতে হলে ঐতিহাসিকদের পাশা পাশি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিহাস বিকৃতি ও সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে সঠিক ইতিহাসকে তার আপন গতিতে চলার সুযোগ করে দিতে হবে।


দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত আমাদের এই স্বাধীনতার ইতিহাস খুবই গৌরবের। পাশাপাশি সহায় সম্বল, স্বজন হারানোর বেদনাও ভারাক্রান্ত। ধ্বংসের মধ্যদিয়ে সৃষ্টির বারতা নিয়ে আমাদের এই স্বাধীনতা এমনিতেই আসেনি। এই স্বাধীনতার জন্য দেশের মানুষকে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের ২৩ বছর সময়কালের মধ্যে ১৪ বছরেই জেলে থাকতে হয়েছে। শেরে বাংলা এ কে ফজুল হক, মজলুম জননেতা মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি, গনতন্ত্রের মানষ পুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসকদের শাসন শোষণ ও বৈষম্যের হাত থেকে বাংলার স্বার্থ রাক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠি কর্তৃক জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
অনেক কষ্ট আর আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে ধর্মের লেবাসধারী পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে অসীম সাহসের সাথে বাংলার মানুষকে লড়াই করতে হয়েছে।


১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬০ দশকে আইয়ুব বিরোধী ছাত্র গন-আন্দোলন, ৬৬ এর বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর ছাত্র জনতার সফল গন-অভ্যুত্থান, সবশেষে সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ছাত্র গণ আন্দোলনের মাধ্যমে ৭০ এর জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর একক সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন। নির্বাচন উত্তর পাকিস্তানি শাসকরা ক্ষমতা হস্তান্তরের টালবাহানা ও ছাত্রজনতার প্রতিরোধ আন্দোলন। পরিশেষে সশস্ত্র মুত্তিযুদ্ধ এর প্রতিটি স্তরে রয়েছে এদেশের ছাত্রজনতার অপরিসীম ত্যাগ তিথিক্ষা। এক কথায় আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল আমাদের এই স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস। এক সুদীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলা দেশের স্বাধীনতা অর্জন।


এটাই হলো বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতকে পাস কাটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যারা বিকৃতি বা অসত্যের আবর্তে ফেলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন তারা হয়তো সাময়িক সুবিধা নিতে পারবে ঠিকই। কিন্তু ইতিহাসের আপন গতিকে রোধ করতে পারবেনা। তাই ‘৪৮,’৫২,’৬২,’৬৬,ও ‘৬৯ এর সফল গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী চেতনা উজ্জীবনের প্রতিটি সংগ্রামকে টেনে এনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লিখাই হলো সময়ের দাবী। দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক আন্দোলন, রাজনৈতিক, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংঘঠনের মেধা ও স্বপ্ন ধারাবাহিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। ৭১-এর বাঙ্গালীর এই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এত বিশাল কাহিনীর দ্বারা পরিপূ্র্ণ যে তার জন্য ইতিহাসের এক মহাগ্রন্থ রচনা করলেও বোধ হয় এর সমাপ্তি টানা যাবেনা।

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় কয়েক খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক লেখক ইতিহাসবিদ স্ব স্ব উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখছেন। স্মৃতিচারণমূলক অনেক গ্রন্থ রচিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর পরে এসেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে ১৯৭১ সালে যারা কাঁধে রাইফেল নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশীয় দুসর আলবদর রাজাকার ও শান্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধ দেশ স্বাধীন করল, জীবন দিল এবং অনেক রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনল, সেইসব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেদিনের সেই সব আবেগ, দেশপ্রেম ও যুদ্ধের কাহিনী সেই সব ইতিহাসের পাতায় কতটুকু স্থান করতে পেরেছে তাই নিয়ে আজ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।


ইতিহাস যারা সৃষ্টি করে তারা ইতিহাস লিখে রাখনা। জনৈক ইংরেজ লেখক যথার্থই বলেছেন ‘Thous who Make History They Do Not Write History’ যদিও এই বক্তব্যটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখার বেলার প্রযোজ্য হয়নি। কারণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী অনেকে মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের বীরত্বপূর্ণ কাহিনীর স্মৃতিচারণ করে বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের নিজেদের রণ কৌশল ও বীরত্বপূর্ণ কাহিনী ভরপুর। এসব গ্রন্থ নিয়ে আবার ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কোন ব্যাক্তি, গোষ্ঠীর বা দলীয় রাজনীতির মধ্যে না রেখে স্বাধীনতাকামী মানুষের অংশদারিত্বে কৃষক শ্রমিক ছাত্র জনতার প্রতিরোধের যুদ্ধ সেই সাথে স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালী পুলিশ, ইপিআর, আনছার বাহিনী, বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের বীরত্বপূর্ণ ঘটনা। ২৫ মার্চ কালো রাতের প্রতিরোধ যুদ্ধে নিহত ছাত্রজনতা, পুুলিশ, ইপিআর, বেঙ্গল সৈনিকদের আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। গ্রাম বাংলার কৃষক শ্রমিক ছাত্র যুবক যারা দেশপ্রেমে আবেগ তাড়িত হয়ে জীবন বাজি রেখে সশস্ত্র মুুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ ঘটনা গুলোকে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার মহান দায়িত্ব নিয়ে ঐতিহাসিকদের কে এগিয়ে আসতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমাদের ঐতিহাসিকগণ কতটুকু পালন করেছেন বা করতে পেরেছেন তা নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের ছাত্র যুবকদের মাঝে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ৭১-এ যাদের জন্ম হয়নি তারাই বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কতটুকু জানে। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানেন না। এখনো অনেকেই শুনেনি আসলে সেদিন কী ঘটেছিল। কেন বাঙ্গালীরা পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সাহযোগি রাজাকারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে বা শিখানো হয়েছে তার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের আসল কাহিনী কিংবা যুদ্ধের মূল প্রেরনার কোন সম্পর্ক নেই।


আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস রাজনৈতিক দলবাজির কারণে বারবার মার খাচ্ছে বিকৃতি আর অসত্যের কাছে। তাই আজ সময় এসেছে সঠিক ইতিহাসবিদদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে সত্য ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সঠিক ঘটনার আলোকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা এই স্বাধীনতা যুদ্ধের পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের ও কষ্টার্জিত ঘটনা। আর এই সব ঘটনা খোঁজে বের করে ইতিহাসের পাতায় ধারণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগের ইতিহাস এ প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মকে জানাতে ও শিখাতে হলে স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য পুস্তকে এর অন্তর্ভুক্তসহ পরীক্ষার সিলেবাসেও উল্লেখ থাকার প্রয়োজন রয়েছে।

এছাড়াও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রণকারী প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকসহ সমকালের জীবিত রাজনীতিবিদদের কাছে থেকে প্রাসঙ্গীক তথ্য সংগ্রহ করা। বিগত শতাব্দীর ৬০ দশকের ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী নেতৃবৃন্দ যার বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের আন্দোলনের মাধ্য স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৎকালীন পাকিস্তানী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তারা তাদের দেখা অদেখা ঘটনার নীরব স্বাক্ষী। তাই তাদের নৈতিক সমর্থন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি আর অসত্যের হাত থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রণয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।

ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে একটি বিষয় আমি উল্লেখ না করে পারছি না। বিষয়টি হলো ইতিহাসের পাত্র মিত্রদের জীবদ্দশায় তাদের সৃষ্ট ঘটনা প্রবাহের কাহিনী ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করা একটি কঠিন কাজ। এই কাজটি করতে গিয়ে অনেক ঐতিহাসিকদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় ইতিহাসের উপাদানগুলোর সঠিক ব্যবহার, আঞ্চলিক উপাদানগুলোর প্রতি চরম বৈষাম্য, ইতিহাসের জীবিত পাত্র মিত্রদের সাথে ঐতিহাসিকদের দুরত্ব সৃষ্টিও সঠিক ইতিহাস লিখার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক উপাদানগুলো সংগ্রহ করে গবেষনার মাধ্যমে যথাযথ মূল্যায়ন করাই হবে সঠিক ও তথ্যবহুল ইতিহাস প্রণয়ননের প্রধান উপায়। অঞ্চল ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের তথ্যবহুল ঘটনাগুলো খুঁজে বের করে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সংযোজন করে পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনায় ঐতিহাসিকদেরকেই ভূমিকা নিতে হবে। যদি এই দায়িত্ব পালনে তারা ব্যর্থ হন তাহলে অতীতের ন্যায় বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস আবারো মার খাবে এ ধরণের আশংকা শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নয়। এই আশংকা আজ স্বাধীনতা প্রিয় জনগনের।


বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন ১৯৭১ সালে এসে চূড়ান্তরূপ লাভ করে। রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই দেশের ইতিহাস আজ সত্য-মিথ্যা আবর্তে ঘোরপাক খাচ্ছে। নতুন নতুন তথ্য সংযোজননের মাধ্যমে বিকৃতিরূপ ধারণ করছে। এই আশংকা রক্ত দিয়ে কেনা আমাদের স্বাধীনতার জন্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনা করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কতিক শক্তিগুলোকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাই আজ সময় এসেছে বাংলার স্বধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রনয়ণে সমন্বিত প্রয়াস চালিয়ে সঠিক ও নির্ভেজাল ইতিহাস লিখার।


লেখক: হায়দার জাহান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল

শীর্ষ সংবাদ:

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুর্গাপুরে বিষপানে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু
ফুলবাড়ীতে এসিল্যান্ডের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন চাঁদা দাবি: থানায় জিডি দায়ের
ফুলবাড়ীতে সবজির দাম উর্ধ্বমূখী রাতারাতি দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তা
ধর্মপাশায় সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিলো এক শিক্ষক
সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়ায় রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন
মসিকে ১০ কোটি টাকার সড়ক ও ড্রেনের কাজ উদ্বোধন করলেন মেয়র
কলমাকান্দায় নদীর পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক যতীন সরকারের জন্মদিন উদযাপন
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যতীন সরকারের ৮৮তম জন্মদিন আজ
১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এমএলএম mtfe বন্ধ
কলমাকান্দায় পুলিশের কাছে ধরা পড়লো তিন মাদক কারবারি
আটপাড়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১০৩ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
নকলায় ফাঁসিতে ঝুলে নেশাগ্রস্থ কিশোরের আত্মহত্যা
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস
কলমাকান্দায় আগুনে পুড়ে ২১ দোকানঘর ছাই

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 809