গুলশান আরা রুবী
বাংলার ষড়ঋতুর রঙ্গমঞ্চে-
বর্ষার বিষন্নতা পরিহার করি!
শরৎ এলো শান্ত-স্নিগ্ধ কোমল রূপে;
মলিনতাহীন নির্মল আনন্দ-অনাবিল উচ্ছাসে।
পালা বদলে এলো রূপের রানী-
আপন সৌন্দর্যে সাড়স্বরে...!
কখনো প্রাণোচ্ছল চঞ্চলা তরুণী,
দীপ্ত দু'নয়ন তার শীর্ণ সন্যাসিনী।
ঋতুর রাণী শরৎ মানেই লুকোচুরি-
কখনো বাদলের ধারা ক্রন্দনরতা...
কদমের জ্বালা বুকে অভিমানী!
কালের খেয়ালে- নিষ্প্রভ স্নেহময়ী জননী।
প্রতিটি ভোর হয় এখানে সখি-
শিউলির সৌন্দর্য গায়ে মেখে!
বাংলার বুকে আনন্দ ঝর্ণাধারা বয়ে-
তটিনীর দু'কূলে ফুটে কাশফুলের সনে।
যৌবন বিকশিত শরতের নীল আকাশে-
বাংলার মাঠ-ঘাট,খাল-বিল নদী প্রান্তরে!
রাধাচূড়া,মল্লিকা,নয়নতারা বা ছাতিম ছায়ায়,
জানা আর না’জানার নানা জাতের ফুলে।
শরৎ উপভোগ করতে চাইলে-
শহরে জীবন হতে দূরে...
গ্রামীণ প্রকৃতিতে এসো সখা-সখি!
ইট-কংক্রিটের জঙ্গলে সে'তো বেমানান!
অনুভব-অনুরণ জাগাতে এসো সবে-
মাটির কাছাকাছি,নদীর পাশাপাশি ,
এখানেই সৌন্দর্যের ডালা সাজে ...
সংসার পাতে নির্মল শরতের।
আরও পড়ুন: ঝিনাইগাতীতে শিশু ধর্ষক ফয়সালের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন