![কেন্দুয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৩০ কেন্দুয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৩০](https://www.durjoybangla.com/media/imgAll/2023November/conflict-2405261612.jpg)
কেন্দুয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৩০
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু'দল গ্রামবাসীর মাঝে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কাইয়ূম মিয়া (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী পুরুষসহ অন্তত ৩০ জনেরও বেশী লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গাছে।
আহতদের কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মারাত্নক আহত কাইয়ূম (৬৫),হুমায়ূন কবির (৩৯), শহিদ (৫২),হাবিবুল্লাহ (৪৫), মাসুদ রানা (২৪),মামুন (২৫), কামরুল (৩৫),মিনারুল (৩২), হিরন (৩৫), ইব্রাহীম (৫৫) ও আজিবুল (৩৫) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বাকিদের মাঝে শাহ আলম,জসিম উদ্দিন,আ:সালাম,নাজমা আকতার,হলুদ মিয়া,মঞ্জু মিয়া,আল আমীন,আজেদা খাতুন ও আনোয়ার হোসেন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেলেও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত পৌনে ৮টায় কাইয়ূম মিয়ার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যু খবর শোনার পর প্রতিপক্ষের আহতরা দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
নিহত কাইয়ূম মিয়া কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের পরশ আলীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৫মে) সন্ধায় বিষ্ণপুর গ্রামে। পুলিশ বেশ কয়েক জনকে আটক করেছেন। এখনও গ্রামটিতে থমথমে আবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজেদুর রহমান সাজু, পুলিশ ও গ্রামবাসি সূত্রে জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে বিষ্ণপুর গ্রামে একটি মারামারি ও বিরোধের ঘটনায় উক্ত গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ ও একই গ্রামের মাহবুব রহমান ঝন্টু মিয়া গং দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশ দরবার করে মিট মিমাংশা করেন। এরই মধ্যে গত শনিবার (২৫মে) বিকালে গ্রামের ছেলেরা একটি পতিত জমিতে ফুটবল খেলছিল। এ সময় লতিফ মেম্বর গ্রুপের একজনের পাশের জমিতে বল যাওয়াকে কেন্দ্র করে লতিফ মেম্বার পক্ষ ও ঝান্টু মিয়ার পক্ষের লোকদের মাঝে কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়ায় শুরু হয়।
পরে সন্ধায় উভয় পক্ষের লোকেরা দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে মারাত্নক আহত ঝন্টু মিয়ার পক্ষের কাইয়ূম মিয়া নিহত হন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) হোসাইন মুহাম্মদ ফারাবী,কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক পিপিএম,ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যন মাহবুব আলম বাবুলসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সংঘর্ষ থামাতে ছুটে যান।
এ দিকে কাইয়ূমের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট শুরু হয়।এলাকার শান্তি রক্ষায় একজন ম্যাজিষ্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়ছে বলে ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার জানান।পুলিশ বলেন, এখনও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল)হোসাইন মুহাম্মদ ফারাবী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ নেত্রকোনায় আমাদের মিটিং ছিল এ ঘটনার জন্য আমাদের যাওয়ার প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়েছে।
ওসি এনামুল হক পিপিএম বলেন,পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে, বেশ ক'জনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ নেত্রকোনায় ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন।
আরও পড়ুন : কেন্দুয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত
রাখাল বিশ্বাস