
দেওয়ানগঞ্জে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সানন্দবাড়ী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীগণ।
বুধবার সানন্দবাড়ী বাজারে মাদ্রাসাটির সকল শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, শিক্ষক হয়রানি, ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীগণ।
এর আগের দিন মঙ্গলবার মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়ম তুলে ধরে তার পদত্যাগের দাবি এনে মাদ্রাসাটির পক্ষে সহকারী অধ্যাপক ইসমাইল হোসেনের কাছে লিখিত দাবি পেশ করেন শিক্ষার্থীগণ।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সানন্দবাড়ী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ আকন্দ মাদ্রাসাটির শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে অর্থ বাণিজ্য করেছেন। তিনি অর্থের বিনিময়ে অনিয়ম-দূর্নীতি করে কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। স্টাফিং প্যাটার্ন বহির্ভূত নিয়োগকৃত দুই প্রভাষকের বেতন ভাতা বন্ধ করেন।
পরে একজনের বেতন ভাতা দেওয়া হলেও অন্যজনের বেতন ভাতা এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। মাদ্রাসাটির অনিয়মতান্ত্রিক আর্থিক লেনদেন, নামে বেনামে উপবৃত্তির থাকা উত্তোলন, উপবৃত্তির টিউশন কি শিক্ষকদের মাঝে বন্টন না করে নিজে আত্মসাৎ করেন। স্যানিটেশন বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ ও সানন্দবাড়ী বাজারে মাদ্রাসাটির জমি হস্তান্তরের নামে টাকা গ্রহণ ও আত্মসাৎ করেন।
এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগ খোলার নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, ওই অধ্যক্ষ প্রায়ই হাজিরা দিয়ে অফিসে কাজের কথা বলে দেওয়ানগঞ্জ অবস্থিত তার নিজস্ব বাড়িতে অবস্থান করেন। কোনো মুভমেন্ট রেজিষ্টার তিনি সংরক্ষণ করেন না। প্রতিদিন মনগড়া মাদ্রাসা ছুটি দেন।
মাদ্রাসাটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এম এ বারী আকন্দ জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিষয়টি তিনি জানেন। বিষয়টি শিগগিরই তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ জানান, আমি মাদ্রাসাটির অবকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে সব সময় তৎপর ভূমিকা পালন করে আসছি। একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পাঁয়তারা করে আসছে। কিন্তু আমি নির্দোষ, আমার মাঝে সৎ সাহস আছে। আল্লাহ সহায় থাকলে কেউ আমার কিছু করতে পারবে না।
প্রকাশ থাকে যে, গত ২০০৭ ইং, ২০১১-১২ইং ও ২০১৩ ইং সনে অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ আকন্দের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আন্দোলন করেছিলেন শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী, কোন অদৃশ্য ক্ষমতা বলে বহাল তবিয়তে আজও অধ্যক্ষের পদে আছেন তা অনেকের অজানাই রয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ কেন্দুয়ায় অসীম কুমার উকিলসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা
হারুন অর রশিদ