![যৌতুকের টাকার জন্য শিক্ষিকাকে মারধর: স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা যৌতুকের টাকার জন্য শিক্ষিকাকে মারধর: স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা](https://www.durjoybangla.com/media/imgAll/2023November/Allegation-of-torture-on-wife-for-not-getting-dowry-in-Kendua-2402121351.jpg)
যৌতুকের টাকার জন্য শিক্ষিকাকে মারধর: স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বান্দনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রুনা আক্তারকে মারধরের অভিযোগে রুনার স্বামী রিয়াজ আহমেদ সিরাজ, ভাসুর অলি উল্লাহ ও ননদী শিল্পী আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রুনা আক্তার বাদী হয়ে রোববার রাতে কেন্দুয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
প্রায় ১৩ বছর আগে প্রেম পরিণয়ের মাধ্যমে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের কন্যা রুনা আক্তারের সাথে বিয়ে হয় কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কচন্দরা গ্রামের আছাব উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ আহমেদ সিরাজের।
বিয়ের ৭ বছর পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি হয় রুনার। এর পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের চাপ বাড়তে থাকে রুনার উপর। রুনা আক্তার জানান, ইতি মধ্যে তাদের দাবীর মুখে সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখা হতে ৪ লাখ টাকা ঋণ উঠিয়ে স্বামী ও ভাসুরের হাতে তুলে দেন। তারা টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরও ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ ও সংসার পরিচালনা করতে হয় রুনাকেই।
গত কয়েক মাস আগে রুনার বাবার বাড়ি থেকে আরও ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি হয়। গত ১০ ফেব্রæয়ারি টাকা না দিতে পারায় স্বামী, ভাসুর ও ননদী মিলে রুনাকে মারধর করেন। সোমবার দুপুরে রুনা আক্তার বলেন, আমি আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে আছি। স্বামী, ভাসুর ও ননদীর বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেছি। সেই সাথে তাদেরকে তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। তবে তারা পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেন্দুয়ায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ