দুর্গাপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করল বিজ্ঞ বিচারক
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত সোহরাব খাঁ (২০) গত বুধবার দুর্গাপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মাসুম মিয়া জামিন না মঞ্জুর করেন।
সোহরাব খাঁ উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের পাটলী গ্রামের আহাম্মদ খাঁ এর ছেলে। এর আগে গত গত ১৭ জুন ৫ জনকে অভিযুক্তরা করে থানায় ধর্ষন মামলা করেন পাটলী গ্রামের ভিকটিমের পিতা।
অভিযুক্তরা হলেন পাটলী গ্রামের (১) সোহরাব খাঁ(২০) (২) মোশারফ খাঁ(২৮) (৩) নাঈম মিয়া (২০) (৪) ওবায়দুল সরকার (৪০) (৫) তরিকুল খান (৪০)।
মামলার বিবরন থেকে জানা যায়, স্কুল ছাত্রী(১৬) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। অনুমান ২ বছর আগে স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে তাঁর সাথে প্রেমের সম্পূর্ক গড়ে তুলে সোহরাব খাঁ। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার স্কুল ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে।
চলতি বছরের ২০ মার্চ রাত অনুমান ১১ টার সময় স্কুল ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে সোহরাব খাঁ। পরে স্কুল ছাত্রী বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানাই। এরপর বিষয়টি ছেলের পরিবারের সদস্যদের জানাই মেয়ের পরিবার।
ছেলের পরিবারের সদস্যরা বিচার করবে এ
আশ্বাস দিয়ে ঘুরাইতে থাকে। গত ১৫ জুন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সোহরাব খাঁ অসৎ উদ্দেশ্যে আবার স্কুল ছাত্রীর বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় মেয়ের পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাঁকে আটক করে।
এ আটকের কথা শুনে ছেলের পরিবারের সদস্যরা মেয়ের বাড়িতে প্রবেশ করে মেয়ে ও তাঁর মাকে এলোপাথারী মারধর করে ছেলেকে নিয়ে যায়। মারপিটের কারণে মেয়ে ও তাঁর মা এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয়।
পরে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভিকটিমের পিতা থানা পুলিশের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, গত বুধবার প্রধান অভিযুক্ত আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
আরও পড়ুনঃ সড়ক নয়, যেন মরণ ফাঁদ
কলি হাসান