
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতি মামলায় দুই ডাকাত র্যাবের হাতে গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন কাউতলী এলাকা হতে ডাকাতি মামলায় ডাকাত দলের দলনেতাসহ দুই ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯, সিলেট।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, ধর্ষণ, মানবপাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বনদস্যু/জলদস্যু, ডাকাত ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছাড়াও যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ বিগত আওয়ামী সরকার পতনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সুযোগ নিয়ে কতিপয় অসাধু লোকের কর্মতৎপরতা ও ডাকাতির হার পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেও ডাকাতির হার অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল গত ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৭:৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন কাউতলী নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এফআইআর নং- ৫৭, তারিখ- ২৪/০৯/২০২৪খ্রিঃ ধারা- বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ১৫(৩) তৎসহ ১৪৩ /৪৪৭ /৪৪৮ /১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৪৩৫/৪৩৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০) এর মূলে ডাকাত দলের সর্দারসহ ০২ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা ১। সায়মন মিয়া (২৪), পিতা- শফিক মিয়া, সাং- ভাদুঘর এবং ২। ওমর ফারুক @ রনি (২০), পিতা-আবুল ফায়েজ, সাং-দাতিয়ার, উভয় থানা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ডাকাত দলের সর্দার সায়মন মিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানায় বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনের জন্য একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও ডাকাত চক্রদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-৯, সিলেট/সিপিসি-১