
বড়লেখায় ছেলের হাতে বাবা খুন: ছেলে নোমান গ্রেফতার
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবা খুন হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী ছেলে নোমান হোসেনকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, ধর্ষণ, মানবপাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বনদস্যু/জলদস্যু, ডাকাত ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এছাড়াও যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ২২:০০ ঘটিকার সময় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের কলাজুরা গ্রামে নোমানের সঙ্গে সুজানগর ইউনিয়নের এক মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল। মেয়েপক্ষ অতিরিক্ত দেনমোহর দাবি করায় নোমানের বাবা মামুন মিয়া এতে রাজি ছিলেন না।
বিষয়টি নিয়ে মামুন মিয়ার সঙ্গে তার ছেলে নোমানের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে বাবার গলার পাশে আঘাত করেন নোমান। এতে মামুন মিয়া গুরুতর আহত হন। স্বজনরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-২, মৌলভীবাজার এবং র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ২০:০০ ঘটিকায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন দেবপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে (মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার মামলা নং-১৫/১৫০, তারিখ- ২৫/১১/২০২৪ খ্রিঃ ধারা-৩০২ পেনাল কোড) এর মূলে পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী নোমান হোসেন (২৭), পিতা- মৃত মামুন মিয়া, সাং- পূর্ব হাতলিয়া (কলাজুড়া), থানা- বড়লেখা, জেলা- মৌলভীবাজার।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও, র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন করে দেশে প্রবেশ করেছে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস