দুর্নীতি দমন কমিশন
বহুধাপ বিপণন (এমএলএম) ব্যবসার আড়ালে দ্বিগুণ মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে তা 'স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রুপান্তর' করার অভিযোগে পুলিশের এক সাবেক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৭ মে) বিকেলে রাঙামাটির দুদক কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।
মামলার আসামি টারজান খীসা (৪২) বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানা এলাকার কল্যাণপুর সড়কের যতীন প্রকাশ খীসার ছেলে। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বাহিনী থেকে বরখাস্ত হন তিনি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক আতিকুল আলম। তিনি বলেন, টারজান খীসার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে মামলার সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। কমিশনের অনুমোদন পেয়ে বুধবার বিকেলে রাঙামাটি দুদক কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, টারজান খীসা ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশে নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। দুদকের তদন্তে বলা হয়, টারজান খীসা এমএলএম প্রতিষ্ঠান ইউনিপে টু ইউর প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। ২০১১ সালে ইউনিপে টু ইউর রাঙ্গামাটি জেলার প্রধানের দায়িত্বে থাকা উদ্দীপন চাকমার সঙ্গে টারজান খীসার সখ্যতা আছে। তিনি ইউনিপে টু ইউর রাঙ্গামাটি জেলার 'সেকেন্ড ম্যান' হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া তার মেয়ে বর্তমানে ভারতের মিজোরামে পলাতক উদ্দীপন চাকমার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছেন বলেও জানা যায়।
আরও পড়ুন: নওকুচিতে বৈধ জমি থেকে গাছ কর্তনে দুস্কৃতিকারীদের বাঁধা