![নেত্রকোনার মদনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত নেত্রকোনার মদনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত](https://www.durjoybangla.com/media/imgAll/2023May/conflict-2309261240.jpg)
নেত্রকোনার মদনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের চার গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারের পাশের হাওরে।
নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান হীরা (৫৫) জানান, আমাদের আলমশ্রী গ্রামের ছেলে মেয়েরা নোয়াগাঁও আফতাব হোসেন একাডেমিতে পড়ালেখা করে। তারা স্কুলে আসা যাওয়ার পথে নোয়াগাঁও গ্রামের ছেলেরা মেয়েদেরকে প্রায়শই ইভটিজিং করে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে আলমশ্রী গ্রামের ছেলেদের সাথে নোয়াগাও গ্রামের ছেলেদের মারামারির ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনার ,কোন ন্যায় বিচার না পাওয়া আলমশ্রী মাখনা ও নোয়াগাঁও পাঁচ আলমশ্রী গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে নোয়াগাঁও গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল মিয়া (৫০) জানান, জনতা বাজার দখল করার জন্য আলমশ্রী ও মাখনা গ্রামবাসী পরিকল্পিতভাবে সকাল বেলা জনতা বাজারে আক্রমণ করে। আমাদের জমি আমাদের বাজার রক্ষা করতে নোয়াগাও ও পাচ আলমশ্রী গ্রামের লোকজন বাধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘন্টা ব্যাপী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে।
খবর পেয়ে মদন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত নোয়াগাঁও গ্রামের মুতি মিয়ার ছেলে, রফিক ( ৩৫), হাসিম উদ্দিনের ছেলে গনি মিয়া (৬৫), আবু চান মিয়ার ছেলে সিয়াম (৪৫)কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নোয়াগাঁও গ্রামের আহতরা হলেন, মতি মিয়ার ছেলের রফিক (৫০), সাদেক মিয়ার ছেলে গনি (৫০), হাসিম উদ্দিনের ছেলে নয়ন (৩৫), আবু চানের ছেলে সিয়াম, কুদ্দুস মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৫), রতন মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩০)। আলমশ্রী গ্রামের আহতরা হলেন, ইঞ্জিন মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া (৫৫), দুলু খা'র ছেলে হারুন খা (২৫) মৃত শান্ত মিয়ার ছেলে জয়ফুল (৩০) আক্কাস আলী ছেলে সেলিম (৩০) উমেদ আলীর ছেলে আরশ (৫০), জুলুস খাঁ ছেলে মাসুম খাঁ (৫০)। অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে প্রাথমিক ভাবে নিকটস্থ এলাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, আমি ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত