লৌহজংয়ে ড্রেজার বসিয়ে চলছে কৃষি জমি ভরাট বানিজ্য
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ফুলকচি গ্রামে আবাধে কৃষি জমির মাটি কেটে অপর কৃষি জমি ভরাট চলছে। ফুলকচি গ্রামের অহিদ নিজের খণন যন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বর্ষা শুরু মৌসুম হতেই কৃষি জমির মাটি কেটে অপর একাধিক কৃষি জমি ভরাট করছেন। খিদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য বাবু বেপারী ফুলকচি বিলের কৃষি জমি ও পুকুরের মাটি বিক্রি করছেন । তার জমিতে চলছে বর্তমানে দুটি ড্রেজার । এই দুটি ড্রেজার বসিয়ে চলছে কৃষি জমি ভরাট বানিজ্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওহিদ ড্রেজার দিয়ে বাবু মেম্বার এর কৃষি জমি হতে মাটি এনে ফুলকচি গ্রামের আবুল সেখের কৃষি জমি ভরাট করছেন। ওই বালুর সাথে আসা ঘোলাটে পানি ছাড়া হচ্ছে একই গ্রামের রুহুল আমিন বেপারীর পুকুরে। এতে তার পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রুহুল আমিন বেপারী বলেন, অহিদ ড্রেজার দিয়ে বাবু মেম্বারের জমি হতে মাটি এনে আবুল সেখের জমি ভরাট করছেন। অহিদ ড্রেজারের বালির সাথে আসা ঘোলা পানি আমার পুকুরে দিচ্ছে এতে আমার মাছ মরে যাচ্ছে। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। সে আমাকে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানাতে বলছে।
স্থানীয়রা বলেন, বর্ষা আসার পর হতেই অহিদ ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে ফুলকচি ও তার আশে পাশের গ্রামের বেশ কিছু কৃষি জমি ভরাট করছেন। বর্তমানে আমাদের জমিগুলো শুকিয়ে আসছে আমরা আবাদ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এর মধ্যে অহিদ আমাদের জমিতে ড্রেজারের বালুর সাথে আসা পানি ফেলছে। ফলে আমাদের জমিগুলো শুকাচ্ছেনা। আমরা সঠিক সময়ে আলু আবাদ করতে পারবো না। তারা বলেন অহিদের সাথে মাটি কাটায় জড়িত রয়েছেন হুগলি গ্রামে সোরহাব।
এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক অহিদ ড্রেজারটি তার স্বীকার করে বলেন, কেউ মাটি কাটতে বললে আমি আমার মাটি কাটার ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে দেই। কৃষি জমির মাটি কাটা নিষেধ বিষয়টি আপনার জানা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে আমি একটা পুকুর থেকে মাটি কেটে আরেকটা পুকুর ভরাট করছি।
এ ব্যাপারে ওই ভরাটকৃত জমির মালিক আবুল শেখের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বোন পরিচয় দিয়ে এক ভদ্রমহিলা বলেন আবুল শেখ বাসায় নেই সে দূরে আছে। এ ব্যাপারে জানতে মাটি বিক্রেতা সাবেক ইউপি সদস্য বাবু বেপারীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
খিদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, রুহুল আমিন বেপারী আমাকে জানাইছে তার পুকুরে অহিদ ড্রেজারের ঘোলা পানি দেওয়াতে তার মাছ মরে যাচ্ছে আমি তাকে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানাতে বলছি। এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, এখনো আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি । বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।