মানিকগঞ্জ সিঙ্গাইরে মমতাজের কর্মীর হাতে বিজয়ী টুলুর কর্মী নিহত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৫ দিন শেষ হতে না হতেই মৃত্যুর কোলে মানিকগঞ্জ ২ আসনের বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু (ট্রাক) মার্কার কর্মী মানিকগঞ্জ সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের সিরাজপুর আটিপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস (৫২)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুদ্দুস আটিপাড়া বাজারে দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে মসজিদের সামনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎপেতে থাকা মৃত হজরত আলীর ছেলে কালাম (৪৫), হাকিম আলীর ছেলে মিলন (৩২), কালামের ছেলে যুবায়ের (২২), জব্বারের ছেলে রাসেল (২৩), মৃত হজরত আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৩৬), মোহাম্মদ আলীর ছেলে সালাহউদ্দিন (৩৫), নজরুলে ছেলে ফিরোজ (৩৮), মৃত সামসুলের ছেলে মোখলেছ (৩৮), মৃত হামেদ মেম্বারের ছেলে রুবেল (২৮), ওহাবের ছেলে সাজু (২৫), আইবুলের ছেলে ইমন (২৩), হবির ছেলে সজিব (২২), মৃত ওমেদ আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৮), আবুল হোসেনের ছেলে আওয়াল (২৩), সাগর আলীর ছেলে আরমান আলী (৫৫), পারুর ছেলে জুয়েল (২৮), মৃত রিয়াজুদ্দিনের ছেলে মহন (৪৮), দ্বয় দেশীয় অস্ত্র চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
পরে কুদ্দুসের বোন জাবেদা (৫৫) কালাম গংদের পায়ে ধরে ভাইকে বাচানোর উদ্দেশ্যে, কিন্ত কালাম গংরা তার বোনকেও মাথার মধ্যে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দু'ভাইবোনকে ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্মরত ডাক্তার কুদ্দুসের বোনকে ভর্তি করে কুদ্দুসকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। ওইদিন রাত ৯.৩০ মিনিটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. কুদ্দুস মৃত্যু বরণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ ২ আসনের বিজয়ী (ট্রাক) মার্কার কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন মো. কুদ্দুসসহ তার পরিবাররা। সেখান থেকে পরাজিত মমতাজ বেগমের সন্ত্রাস বাহিনী (নৌকা)'র কর্মী কালামগংরা কুদ্দুসের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন। সামনে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আসতে না আসতেই দ্বাদশ নির্বাচনের প্রতিশোধ নিলেন।
মৃতু কুদ্দুসের পরিবার বলেন, পুলিশের সামনেই কালামগংরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুদ্দুস ও তার বোনকে এলোপাতাড়ি কোপাইছে। পুলিশ দেখেও তাদের কিছু বলে নাই। পুলিশরা মসজিদের সামনে গিয়ে দাড়ায় ছিলো।
এবিষয়ে সিঙ্গাইর থানায় মৃত কুদ্দুসের ভাই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে ১৭জন ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন