ফুলবাড়ীতে দুইটি সেমাই কারখানা ও হালিম কারখানায় অভিযান : অর্থদণ্ড
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন, ক্ষতিকারক রং মেশানোসহ অন্য ঠিকানা ব্যবহার করার অপরাধে দুইটি সেমাই কারখানার সত্ত্বাধিকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যবহৃত মাংস ও হাড় পুনরায় ব্যবহার করার অপরাধে একটি হালিম কারখানা সত্ত্বাধিকারীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে পৌরএলাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণ তদারকি অভিযান পরিচালনা করে দিনাজপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে নেতৃত্ব দেন দিনাজপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা’র (এনএসআই) সহকারী পরিচালক শামীম আহম্মেদ ও ফিল্ড অফিসার মিজানুর রহমান, দৈনিক ভোরের আকাশের প্রকাশক এসএম নুরুজ্জামান জামান, দিনাজপুর জেলা ক্যাবের নির্বাহী সদস্য সভাপতি মাসউদ রানা, ফুলবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. বদিউজ্জামান, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মনজুরুল হক, ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ের অফিস সহকারি মো. এরশাদ আলী প্রমুখ।
দিনাজপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পৌরএলাকার পশ্চিম গৌরীপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন বাবুর বাড়িতে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন, ক্ষতিকারক রং মেশানোসহ পা দিয়ে সেমাইয়ের খামি তৈরির অপরাধে সাজ্জাদ হোসেন বাবুকে ১৫ হাজার টাকা, মধ্য গৌরীপাড়া কাজীখানা রোডে সেতু সেমাই কারখানায় তৈরিকৃত সেমাইয়ের মোড়কে ঢাকার ঠিকানা ব্যবহার করে ক্রেতার সাথে প্রতারণাসহ ক্ষতিকারক কাপড়ের রং মিশ্রনের অপরাধে সেতু সেমাই কারখানার সত্ত্বাধিকারীকে ১৫ হাজার টাকা এবং দক্ষিণ বাসুদেবপুর নয়াপাড়ায় ফুলবাড়ীর জনপ্রিয় মামা হালিম নামক কারখানায় ব্যবহৃত মাংস ও হাড় পুনরায় হালিমে ব্যবহারসহ অবৈধ প্রক্রিয়ায় হালিম প্রস্তুত করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। একই সাথে তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই সতর্ক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, যারা নিষিদ্ধ ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য তৈরি করে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণাসহ তাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাল পেলেন ফুলবাড়ীর ৪ হাজার ৬২১ পরিবার
কংকনা রায়