
হায়দার জাহান চৌধুরী
হাওড়-জঙ্গল মঈষের শিং এই তিনয়ে মিলে মৈমনসিং। প্রবাদগত এমন কথা উল্লেখ থাকলেও বৃহত্তর ময়মনসিংহের এ অঞ্চল ছিল লোকসংস্কৃতির বিরাট ভান্ডার। বিগত সময়ের বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলার পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভাটি এলাকাগুলো নিয়ে আদিকাল থেকেই গড়ে উঠেছিল এক বিশেষ লোকসংস্কৃতি। যুগ যুগ ধরে এই লোকসংস্কৃতির প্রচলনের কারনে লোকগীতি ও লোকসাহিত্যের ভান্ডার হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠে এই অঞ্চলগুলো।
দিন, মাস, ঋতু, প্রকৃতির পরিবেশের সঙ্গে ছিল এসব লোকসংস্কৃতির একমাত্র যোগসূত্র। স্থানীয় লোকাচার, ধর্ম ও বিভিন্ন সামজিক কর্মকান্ডগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এ অঞ্চলের লোকসংস্কৃতির ভান্ডার। লোকসংস্কৃতির নানা আচার অনুষ্ঠান ছিল এ অঞ্চলের মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক। বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এইসব এলাকা জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের ধুম পরে যেতো। আঞ্চলিক লোকজ অনুষ্ঠানগুলো ছিল মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য ও অপরিহার্য্য বিষয়।
লোকসংস্কৃতি কোন নির্দিষ্ট সীমারেখায় আটকানো ছিল না এগুলো ছিল মানুষের জীবনের আনন্দ উপভোগ ও প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম। তাই এইসকল প্রতিটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন ছিলো হাজারো আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, কিশোর-কিশোরি , ধনী-দরিদ্র , ধর্ম,জাত বিভেদ নির্বিশেষে গণমানুষের।সকলেই উপস্থিত থেকে এসব অনুষ্ঠান উপভোগ করতো, আনন্দও গ্রহন করতো হৃদয়ের গভীর থেকে। অনুষ্ঠানগুলোতে আয়োজন হতো বাউল গানের আসর, পিরালী গান, মুর্শিদী গান, গাজীর গীত, রামমঙ্গল, মনশার ভাসান, লাম্বাকিচ্ছা বা পালাগানসহ ঢবযাত্রা, ঘাটুগান ও মেয়েলীগীত ইত্যাদি।
যাত্রাগান, কবিগান, বাইজির নাচসহ গানের আয়োজন সাধারনত একটু ধনী শ্রেণীর লোকদের বাড়ীর আঙ্গীনা অথবা বাড়ী সংলগ্ন খোলা মাঠে। আর এইসব অনুষ্ঠানগুলো বাড়ির মালিক অথবা কর্তাব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হতো। কবিগান, যাত্রাগান ও গুরমা গানের আসরসহ একটু বড় অনুষ্ঠান সাধারনত খোলা জায়গাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হতো। সাজানো হতো বড় সামীআনা বা চাঁদোয়া টানিয়ে। সেই সাথে দুই তিন জোড়া মজবুত চৌকি দিয়ে উচু মাছা তৈরি করে মধ্যস্থলে ঠেইজ বা মঞ্চ তৈরি করা হতো।
মঞ্চের চারপাশ ঘিরে আমন্ত্রিত লোকদের বসার ব্যবস্থা করা হতো। বসার স্থানের পর থেকে সাধারণ লোক জন চারদিক ঘিরে বসে অথবা দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা উপভোগ করতো সেসব অনুষ্ঠান। প্রায় সারারাত ধরে চলতো এইসব অনুষ্ঠান। যেদিন যে অঞ্চলে অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকতো সে অঞ্চলের লোকসহ আশেপাশের মানুষদের মাঝেও এর সাড়া পরে যেতো আগে থেকেই। প্রতিদিনিই বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসব অনুষ্ঠানাদি দেখতে ও উপভোগ করতে জড়ো হতো। তবে অনুষ্ঠানে ষাড়ের লড়াই, ঘোড়দৌড়, নৌকা বাইচ, প্রভৃতি ছিল সার্বজনীন অনুষ্ঠান।
এগুলো সাধারণত গ্রামের বাহিরে বিস্তৃত খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। বর্ষা কালে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হত। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসেই নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতা এঅঞ্চলের মানুষকে প্রচুর আনন্দ দিতো। নদী, বিল ও হাওরের উন্মোক্ত স্থানে এই নৌকা বাচই অনুষ্ঠিত হতো। জমিদার, জোর্দার, তালুকদার ও অবস্থা সম্পন্নরাই হতেন এসব অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা । প্রতি বছরের বর্ষায় নিজ নিজ গ্রামে সকলের উৎসাহ উদ্ধীপনার মাঝে এইসব অনুষ্ঠানাদির ব্যবস্থা করা হতো। কুস্তি, ষাড়ের লড়াই, ঘোড়দৌড় ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ছিল সার্বজনীন উৎসব। এগুলো প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে অনুষ্ঠিত হতো।
এধরেন উৎসব দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল আটপাড়া থানার সোনাজুর গ্রামের এলাকায়। শ্রীপঞ্চমি সময়ে সোনাজুর চৌধুরী বাড়ির লোকজনের পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যবস্থাপনায় সপ্তাহ ব্যাপি এ অনুষ্ঠান হতো। চৌধুরী বাড়ির মরহুম খোরশেদ আলী চৌধুরী পৃষ্টোপোশকতায় এলাকায় ঘোড়দৌর, নৌকা বাইছ, লাঠি খেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নেত্রকোণার তৎকালীন মহুকুমার একজন বিশিষ্ট্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সমাজদার ব্যক্তি হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল। দিনের বেলায় খোলা মাঠে অনুষ্ঠান চলতো আর রাতের বেলায় চৌধুরী বাড়ির বৈঠকখানায় জমে উঠতো বাউল, কবি, ঘাটুগানসহ নানাবিদ গান বাজনা ও পল্লী গানের আসর।
প্রতিযোগিতা মূলক এসব অনুষ্ঠানে পুরষ্কারের ব্যবস্থাও থাকতো। ঐ গ্রামের এসব অনুষ্ঠানে তৎকালীন সময়ের নামকরা বাউল সাধক কবিয়াল পল্লীগাতক গীতালো ও বয়াতিসহ বাজুন্যাদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠতো। মরমী বাউল সাধক উকিল মুন্সি,জালাল খাঁ, আব্দুল মজিত তালুকদার, বাউল চাঁনমিয়া, উমেদআলী, প্রবাদবাউল, আব্দুল করিম, আলীহোসেন এবং কবিয়ালদের মাঝে বিজয় অচার্য্য, ইশানচন্দ্র, কালিধর, সাধু সরকার, ক্ষেত্রমহন, মধুসরকার, আবুলহোসেন ও মদন আচার্য্যসহ খ্যাতিমান সব বাউল ও কবিয়ালদের উপস্থিতি স্মরণ রাখার মতো।
এছাড়া জারিগান ঘাটুগান পালাগানসহ নানা ধরনে গান বাজনা আটপাড়া সোনাজুর গ্রামে শ্রীপঞ্চমীর সময়ের উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলতো। কবিয়ালদের মধ্যে বিখ্যাত রামু, রামগতি, রামখানাই, বাংলায় যাদের জুুরিনাই এরা ছিলেন এই অঞ্চলের অপ্রতিদ্বন্ধী কবিয়াল। সারা বাংলায় এরা প্রসিদ্ধ ছিল। এছাড়া নেত্রকোণার বিজয় আর্চায্য, ইশান চন্দ্র, কালিধর, সাধু সরকার, তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ কবিয়াল ছিলেন। বিজয় আর্চায্য ছিলেন এদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।
তখনকার সময়ে কবিয়াল বিজয় আর্চায্যকে ছাড়া কোন কবিগানের আসর জমতো না। দেশ বিভাগের ফলে এঅঞ্চলের কবি গানের বেশ ভাটা পরে। উল্লেখিত কবিয়ালদের মৃত্যুর পর তাদের উত্তরসুরীও না থাকায় এই জননন্দিত গানের প্রায় বিলুপ্তী ঘটেছে। আমার কিশোর বয়সে আমি নেত্রকোণা কবিয়াল ক্ষেত্র মোহন (জইনপুর গ্রাম), ঝাউলা গ্রামের মধু সরকার ও বিজয়ার্চায্যের ভাইপো মদন আচার্য্য এবং বেতাটি গ্রামের আবুল হোসেনের কবিগানের আসর দেখেছি এবং তাদের গান শুনেছি যা এখনো আমার স্মৃতিতে অম্লান।
সুদূর অতীত থেকে এর প্রচলন চলে আসছে। পুরুষানূক্রমে এসব পালাগান বা নাটক অনুষ্ঠিত হতো। এসব পালা গানগুলোকে যারা স্বযত্নে লালন করতেন তাদের অনেকেই এখন আর বেঁচে নেই। বিশেষ করে বারহাট্টা ধীতপুর, বাউসী রামভদ্রপুর, মোহনগঞ্জের খুরশিমূলসহ নেত্রকোণার বিভিন্ন অঞ্চলে এসব পালাগানের চর্চা বহুকাল থেকেই চলে আসছিল। এসব পালা গানগুলো গ্রাম্য মানুষের অভিনয়ে সমৃদ্ধ ছিল।
ভাসান যাত্রা অথবা ঢবযাত্রা নামে এসব পালাগান গুলোর মধ্যে মনসা ভাসান, চাদঁ সওদাগর, বেহুলা লক্ষীন্দর। সেকালে অনেক গ্রামেই সময় সময় ঢবযাত্রা পালা গানের আসর হতো। প্রচলিত কাহিনী, ধর্মীয় কাহিনী, পুথি সাহিত্যের কাহিনী থেকে গ্রামবাসী তার নিজস্ব ভাষায় নাট্যকারে রচিত নাটকগুলো গ্রামে উৎসাহি লোকজন একত্রিত হয়ে অভিনয় করে এসব পালাগান মঞ্চস্থ করতো।
এসব পালা গানগুলো গ্রাম্য মানুষের অভিনয়ে সমৃদ্ধ ছিল। ভাষান যাত্রা অথবা ঢবযাত্রা নামে এসব পালাগান গুলোর মধ্যে মনষা ভাষান, চাদঁ সওদাগর, বেহুলা বিলাশ, কংশবদের কাহিনী অবলম্বে এর শুরু ও সূত্রপাত। গ্রাম অঞ্চলের এই ভাষান যাত্রা পরবর্তীতে শহরে বন্দরে যাত্রাগানে রুপ নেয়। বিগত শতাব্দীর প্রথম দিক থেকেই ইতিহাস ভিত্তিক যাত্রাগান ও থিয়েটারের প্রসার লাভ করে ।
দূর্গাপূজা সহ বিভিন্ন উৎসবে যাত্রাগান ও থিয়েটার নেত্রকোণা অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হতো। এক সময়ে যাত্রা থিয়েটারের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল বিনা খরচে গ্রাম অঞ্চলের মানুষকে আনন্দ দেয়া। ইদানিং বিশেষ করে স্বাধীনতার পর থেকে ব্যবসায়ীক মনোবৃত্তি মানুষকে এসব নির্দিষ্ট আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত লোকসংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে চলে আসছিল।
গাজীর গীত, মহরমের আশুরা, তাজিয়া নির্মাণ ও একে কেন্দ্র করে জারি গানের আসর হতো। গাজীর গীত রাম মঙ্গল, ইত্যাদি পালাগান গুলো ছিল এ অঞ্চলের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। গাজীর গীতের পালাগান গুলো ছিল সাধারনত ধর্মীয় ও সামাজিক ভিত্তিক। এগুলো বাস্তব প্রেক্ষাপটে রোমান্টিক ও সামাজিক কাহীনি অবলম্বনে রচিত। গীত পালাগুলো গাইন বা কোন অজ্ঞাত গ্রাম্য কবিদের রচিত। এসব পালা গানের মধ্যে মহুয়া, মলুয়া, সোনাই মাদব, কমল রাণীর দিঘী, কৃষ্ণলীলা ইত্যাদি।
মহুয়া মলুয়া সোনাই মাধবের স্মৃতি বিজড়িত এই নেত্রকোণা অঞ্চলের মানুষ এসব পালাগান লোকে স্বযত্নে হৃদয়ের মাঝে লালন করে আসছে বহুদিন ধরে। লোক সংস্কৃতির ভান্ডারখ্যাত, নেত্রকোণা মানুষের ঐতিহ্যবাহী এসব পালাগান গুলো কেন্দুয়ার চন্দ্র কুমার দে সংগ্রহ করে এবং ড. দীনেশ চন্দ্র সেন কতৃর্ক সংগৃহীত হয়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মৈয়মনসিংহ গীতিকা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় যা বিশ্বের সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং প্রশংসা অর্জন করেছে। এই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলের উদ্যোগে নেত্রকোণায় অল-ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নেত্রকোণা সিনেমা হলে (বিজয়া টকিজ, পরবর্তীতে হাসনা টকিজ) এই সম্মেলনে উপ-মহাদেশের বিখ্যাত সংগীত শিল্পীদের আগমন ঘটেছিল। বিশ্ব বিখ্যাত সেতার বাদক ওস্তাদ আলা উদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, পল্লী গানের সম্রাট আব্বাস উদ্দিন ও তার মেয়ে ফেরদৌসি বেগমসহ দেশ বরেণ্য সংগীত শিল্পীদের আগমনে নেত্রকোণার মাটি সেদিন ধন্য হয়েছিল। উপমহাদেশে এ ধরনের সংগীত সম্মেলন নেত্রকোণায় অনুষ্ঠিত হওয়ার পেছনে এ অঞ্চলের মানুষের লোকসংস্কৃতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিক পরিবেশগত অবদানও যথেষ্ট ।
এই সংগীত সম্মেলনে নেত্রকোণার সংগীত শিল্পী, উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী, পল্লী গায়ক ও বাউল কবিয়ালদের মধ্যে যারা সেদিন গান পরিবেশনের মাধ্যমে নেত্রকোণার সংগীত ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছিলেন তাদের মধ্যে নেত্রকোণার উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী সবিতা সেন রায়, শীলা মজুমদার, নিখিল নাথ সেন, ওস্তাদ গোপাল দত্ত, ওস্তাদ গৌরাঙ্গ আদিত্য, পল্লী গায়ক আব্দুল মজিদ তালুকদার, ওস্তাদ ফজর আলী ও বাউল সাধক রশিদ উদ্দিন, উকিল মুন্সি, জালাল খাঁ, কবিয়ালদের মধ্যে বিজয়াচার্য্য, ক্ষেত্র মহোন, মদন আযার্চ্য, সাধু সরকারসহ অনেক কলাকৌশলী এতে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। এই সংগীত সম্মেলন নেত্রকোণার সংস্কৃতিক ইতিহাসে একটি মাইল ফলক।
শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে নেত্রকোণার লোক জীবনের সাথে লোক সংস্কৃতির ঘনিষ্ট নিবিড় সংযোগের কথা । বাংলাদেশের প্রায় সবকটি লোকসংস্কৃতির ধারা প্রচলিত ছিল আমাদের এই নেত্রকোণা অঞ্চলে। নেত্রকোণার লোকসংস্কৃতির প্রতিটি শাখা এখনো যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু আজকের স্যাটেলাইট বা আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন ও জীবন-যাপনের নানা টানাপোড়নে লোকজ সংস্কৃতি আজ বিলুপ্তির পথে।
যোগ্য উত্তরশুরির অভাবে এ অঞ্চলের লোক সংস্কৃতির ধারা গুলো ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম বাংলার লোকজও ঐতিহ্য এই লোকসংস্কৃতি। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এর সংগ্রহ এবং প্রচলন করা না হলে হয়তো একদিন ইতিহাসের পাতায় এই সোনালী অধ্যায় লিখা হবে ঠিকই কিন্তু বাস্তবে তা দেখতে শুনতে ও উপভোগ করতে পারবে না আমাদের নতুন প্রজন্ম।
লেখক: হায়দার জাহান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক