শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

দুর্জয় বাংলা || Durjoy Bangla

রবীন্দ্রনাথ: মাকে নিয়ে

প্রকাশিত: ২১:১৪, ৭ আগস্ট ২০২৩

রবীন্দ্রনাথ: মাকে নিয়ে

রবীন্দ্রনাথ: মাকে নিয়ে

১৪৩০ বাংলার '২২ শে শ্রাবণ' মেয়ে আর বাবা মিলে উদযাপন করছি। রবীন্দ্র  তর্পণ করতেই যে হয়। মননে, শ্রবণে রবীন্দ্রনাথ। এবার বললাম পৃথা কে, তোলো মা, কথা। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতির তর্পণ শুরু হোক। এবারের বাইশে শ্রাবণে সে বলল এবারের বিষয় কি হতে পারে বাবা? আমি বললাম এবারের বিষয় হোক রবীন্দ্রনাথের মা । আমি বললাম ,তুমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মা সম্পর্কে যদি কিছু বলতে পারো এবং সেটা আমরা যদি কয়েকজনের সামনে উপস্থাপন করতে পারি তবে তা হবে আমাদের তরফ থেকে রবীন্দ্র তর্পণ ।

পৃথা একটু বিব্রতই হয়ে গেল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে টুকটাক জানা আছে সব বাঙালির। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মা! সকলেই গেলেন অল্পস্বল্প বলে। এমনকি রবীন্দ্রনাথও অল্প লিখেছেন তার লেখাতে। আমি বললাম দেখো পৃথা, আমি যদি চ্যাট জিপিটিকে বলি রবীন্দ্রনাথের মায়ের দুটো ছবি এঁকে দাও সে বলবে একটা কেন দশটা বলুন হাজারটা বলুন একে দিব শুধু বর্ণনা দিন, আমি চ্যাটজিপিটিকে বলব, না। তুমি হচ্ছো আমার জীবনের প্রথম অলংকরণ শিল্পী। আজ আমরা বাবা মেয়ে বসে রবীন্দ্রনাথের মায়ের ছবি আঁকবো। মানুষের মস্তিষ্কের জায়গায় যন্ত্র দানবের কাছ থেকে ছবি আমি আশা করি না। আমার কন্যা পৃথা দেবী আমার ছবির ভরসা। ভাবছি। সে বসলো আমিও বসলাম। শুরু হলো আমাদের রবীন্দ্র তর্পণ। এবারে রবীন্দ্র তর্পণের বিষয় রবীন্দ্রনাথের মা। আমি রবী ঠাকুরের মায়ের সম্পর্কে বলব আর পৃথা রবীন্দ্রনাথের মায়ের এবং গল্পের ছবি আঁকবে। 

প্রথম দৃশ্য 
 ছয় বা আট বছরের এক সুন্দরী বালিকা যশোরের দক্ষিণ ডিহি গ্রামের রামনারায়ণ চৌধুরীর বাড়ির উঠানে খেলছে। বাড়িতে তার মা নেই। গঙ্গাস্থানের উদ্দেশ্যে বেড়াতে গিয়েছেন। তাই বাড়ি নিরব সুনসান। ১৮৩৪ সালের মার্চ মাসের সময়কার প্রেক্ষাপটে ই আমরা  ছবি আঁকবো। ঘর দোরের ছবি উঠানের ছবি। উঠানের একপাশে  একটি কাঠের চেয়ার খুবই সাধারণ, তাতে বসা আছে এক মাঝবয়সী লোক। জানিস পৃথা এই মাঝ বয়সী লোকটি শাকম্বরীর কাকা। মায়ের অনুমতি না নিয়েই শাকম্বরীকে তিনি যশোর থেকে নিয়ে আসেন কলকাতায়। আর বিয়ে দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে। গ্রামের পরিচয় মুছে দেয়ার উদ্দেশ্যে নাম পাল্টে রাখা হয় সারদা সুন্দরী দেবী। 
 

দ্বিতীয় দৃশ্য 
সারদা সুন্দরী শাশুড়ি দিগম্বরী দেবী ও দিদি শাশুড়ি অলকা দেবী দুই পাশে বসা রয়েছেন। মাঝখানে অপরূপ সাঁজে বসাব বালিকা বধূ, গৌরবর্ণ চেহারার সঙ্গে সুন্দর মুখ আকৃতি রাণীর মতো লাগছে। এটা সারদা সুন্দরীর গর্ভাধান অনুষ্ঠানের ছবি। বধূর সামনে মিঠাই দিতে হবে ,হরেক রকমের। ঠাকুরবাড়ির অনুষ্ঠান তাই আশেপাশের অলংকরণ অভিজাত করে তুলতে হবে। ১৮৩৫ সালের ২৯ শে জুনের ছবি হবে এটি ।
যার গর্ভে জন্মেছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত বিখ্যাত মানুষ  তার গর্ভাধান হচ্ছে আট নয় বছরে।অথচ আমরা এখন নয় দশ বছরের এক বালিকার গর্ভাধান হচ্ছে শুনলে তা পাপ ছাড়া ভাবতে পারি না। এজন্য বোধহয় ঠাকুর পরিবারের লোকজন এত ছবি আঁকলো কিন্তু এরকম ছবি খুব কমই এঁকেছে। রবীন্দ্রনাথের মাকে নিয়ে দুটি ছবি আঁকার কথা বলেছিলাম পৃথাকে । পৃথা বলল রবীন্দ্রনাথের মাকে নিয়ে তার আরো জানতে ইচ্ছে করছে। সে আরো ছবি আঁকতে রাজি। কি বলব আমারও আগ্রহ আছে। কিন্তু কেউই সারদা সুন্দরী কে নিয়ে কোথাও বিস্তারিত কিছুই লিখেননি। রবীন্দ্রনাথ ও তার মায়ের স্মৃতি নিয়ে কোন বিশদ কিছু লিখেন নি কোথাও। জীবনস্মৃতিতে শুধু মায়ের আবছা আবছা খন্ড বিবরণ। মা কোথাও মা হয়ে অধিষ্ঠিত হতে পারেননি। যদিও যৌবনে এবং পরবর্তী রাণী ছিলেন সারদা সুন্দরী ।
পৃথা তাগিদ দিল । বাবা ,পরের দৃশ্য বল। 

তৃতীয় দৃশ্য 
১৮৪৬ সালের আগস্ট মাসের ছবি ভরা শ্রাবণের গঙ্গা। পানিতে কানায় কানায় ভরা। একটি সু প্রশস্ত বোট আর একটি পিনিস। পৃথা বলল পিনিস কি বাবা ? আমি বললাম ধরো ওয়াটার বাস।ঐ যে রাঙ্গামাটিতে কাপ্তাই লেকে দেখেছিলে। সে বলল ঠিক আছে দারুণ হবে। আমি বললাম   ১৮৪৬ সালের কথা মাথায় রাখতে হবে। আর তুমি ২০২৩ সালের  ওয়াটার বাস দেখেছ সে কথা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে মা।
সে বলল ঠিক আছে দৃশ্যের বর্ণনা দাও। নৌকায় রাজনারায়ণ বসুর সাথে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর আর পিনিসের মধ্যে সারদা সুন্দরী,দ্বিজেন্দ্রনাথ বয়স সাত বছর, সত্যেন্দ্রনাথ বয়স পাঁচ বছর আর হেমেন্দ্রনাথের বয়স তিন বছর।যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে  মাঝি মল্লারা। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন  এ কথা। জীবনস্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতৃদেব নামে একটি প্রবন্ধ লিখলেও মাতৃ দেবীর নামে কোন পৃথক প্রবন্ধ নেই । তবে পিতৃদেব কে প্রথম চিঠি লেখার স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ মায়ের কথা বলেছেন।

চতুর্থ দৃশ্য 
একবার ইংরেজ গভর্ণমেন্ট ছড়িয়ে দিল যে রাশিয়া ভারতবর্ষ আক্রমণ করবে । তাই সারদা সুন্দরী ভ্রমনে থাকা স্বামীর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। ডাক পড়লো রবীন্দ্রনাথের । বালক রবীন্দ্রনাথ জানতেন না কিভাবে চিঠি লিখতে হয়। তাই দপ্তরখানায় মহানন্দ মুন্সির শরণাপন্ন হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ।
রবীন্দ্রনাথের মায়ের ছবি আঁকছি। এক ফ্রেমে মা-পুত থাকবেন না তা কি করে হয়।
 হ্যাঁ বাবা। পৃথা বলল আমি একটি ছবি আঁকছি চিন্তায় উদ্বিগ্ন আলু থালু সারদা সুন্দরী বালক রবীন্দ্রনাথকে পত্র লেখার আদেশ দিচ্ছেন।
সহজ পাঠ ৩য় ও৪র্থ ভাগে বাণী বিনিময় কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখছেন,
"মা, যদি তুই আকাশ হতিস; আমি চাপার গাছ, তোর সাথে মোর বিনি-কথায় হত কথার নাচ।"
 পৃথাকে বলি শোনো, রবির এই কল্পনা দিয়ে তুমি একটি ছবি আঁকতে পারো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জলজ্যান্ত মাকে নিয়ে তেমন কিছু লিখতে পারেননি। ইতিহাস বলে তিনি সে সুযোগ পাননি। তাই প্রকৃতিতেই মাতৃ বন্দনা করেছেন বলেই মনে হয়।

পঞ্চম দৃশ্য 
স্বর্ণকুমারী দেবী "আমাদের গৃহে অন্তঃপুর শিক্ষা ও তাহার সংস্কার" নামক প্রবন্ধে লিখেন মাতা ঠাকুরাণী তো কাজকর্মের অবসরে সারাদিনে একখানে বই হাতে লইয়া থাকিতেন । চাণক্যশ্লোক তাঁহার বিশেষ প্রিয় পাঠ ছিল ।
আক্ষেপ লাগে যে সারদা সুন্দরী নিজের জীবনী খানা লিখলেন না কেন ? জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির খ্যাতিমান প্রায় সবাই কিছু না কিছু লিপিবদ্ধ করে রেখে গেছেন। তাহলে সারদা সুন্দরী কি অভিমান করে কিছু লিখেন নি  ? সবাই লিখেছে, আমার কথা আমি কি লিখব ? পুরো সংসার সামলালাম। বেয়াড়া পরিব্রাজক স্বামী, প্রিন্স শ্বশুর ,শাশুড়ি, দিদি শাশুড়ি, পনের টি ছেলে-মেয়ে নয়টি ছেলে ছয়টি মেয়ে আর টাইটানিকের চেয়ে বিশাল ঠাকুর পরিবার। কেন ওই যশোরের বৃন্ত ছেঁড়া ফুল বলে,আমি অবহেলিত!

পৃথা, আমরা সারদা সুন্দরীর একটি অধ্যয়নরত ছবি আঁকতে পারি। মেয়ে বলল হ্যাঁ বাবা  দৃশ্য বলো, সারদা সুন্দরী শুভ্র পোশাক পরে মাদুরে বসেছেন । গায়ে অলংকারাদি কম। এটা হবে তার নিজের কক্ষ। মাদুরে বসে মগ্ন হয়ে পড়ছেন, চাণক্যের বিখ্যাত বই"অর্থ শাস্ত্র"। পাশে থাকবে মহাভারত ও রামায়ণ। রবীন্দ্রনাথ নিজেই এক জায়গায় বলেছেন, বাল্যকালে মাতৃহীন হওয়ার জন্য মাতৃ চরিত্র তার সাহিত্য স্মরণীয় হয়ে উঠতে পারেনি। তাই আমরা কি করতে পারি ? আরেকবার দুঃখ করে বলেছিলেন, আমি  ছিলাম সংসার পদ্মার বালুচরের দিকে,  অনাদরের কূলে। 

রবীন্দ্রনাথের মা মারা যান তার কিশোর বয়সে । তাই বাল্যকালের স্মরণ করতে গিয়ে জীবনস্মৃতির মত কিছু বইয়ে মায়ের ছোটবেলার ছোট ছোট সোহাগ-আদর ওঠে এসেছে। তবে মায়ের মৃত্যুর দিনের ছবিটা রবীন্দ্রনাথের স্পষ্ট মনে ছিল। জীবনস্মৃতিতে তার সবিস্তার বর্ণনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 
 রবীন্দ্রনাথ তার বর্ণনা করেছেন এভাবে" যে রাত্রিতে তাঁহার মৃত্যু হয় আমরা তখন ঘুমাইতে ছিলাম। তখন কত রাত্রি জানি না। একজন পুরাতন দাসী আমাদের ঘরে ছুটিয়া আসিয়া চিৎকার করিয়া কাঁদিয়া উঠিল- ওরে, তোদের কি সর্বনাশ হলো রে!

সারদা সুন্দরীর মৃত্যুতে ঠাকুর বাড়ির  সর্বনাশই হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেয়াই ও কবিগুরু বিহারীলাল চক্রবর্তী সারদামঙ্গল নামে একটি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। সারদা মানে সরস্বতী। সত্যেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ এরা তো সরস্বতীরই পুত্র । জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ছিল একসময় 'সারদা মহল' । দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুপস্থিতিতে তিনি ছিলেন বাড়ির কর্তা কর্ত্রী।

আমরা অনেকগুলো বই পড়েছি রবীন্দ্রনাথের মা কে জানতে।  রবীন্দ্রনাথের কিশোর জীবনী  রবীন্দ্র বিচিত্রা, রবীন্দ্র রচনাবলী, সহজ পাঠ এসব আমাদের লাইব্রেরীতে তো আছেই। অমিতাভ চৌধুরী অনেকগুলা বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন চোট্ট বই ' রবীন্দ্রনাথের মা ' তে। আত্মজীবনী- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। খগেন্দ্রনাথ লিখেছেন' রবীন্দ্র কথা। 'সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন 'আমার বাল্য কথা'। স্বর্ণকুমারী দেবী 'আমাদের গৃহে অন্তপুর শিক্ষা ও তাহার সংস্কার। 
সারদা সুন্দরীর নাতনি ও স্বর্ণকুমারী দেবীর মেয়ে সরলা দেবী চৌধুরানী লিখেছেন 'জীবনের ঝরাপাতা' । সৌদামিনী দেবী লিখেছেন 'পিতৃস্মৃতি'।

আরও পড়ুন: মাছ মারাকে কেন্দ্র করে এক কন্যা শিশুর মৃত্যু

শীর্ষ সংবাদ:

ঈদ ও নববর্ষে পদ্মা সেতুতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা টোল আদায়
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী
কলমাকান্দায় মোটরসাইকেলের চাকা ফেটে তিনজনের মৃত্যু
র‌্যাব-১৪’র অভিযানে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত প্রকৃতি কন্যা জাফলং ও নীল নদ লালাখাল
কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী ‘জালাল মেলা’ উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী চড়কসহ গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত
কেন্দুয়ায় আউশ ধানের বীজ বিতরণ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত
কলমাকান্দায় দেশীয় অস্ত্রসহ পিতাপুত্র আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামগঞ্জে জ্বালানি চাহিদা পূরণ করছে গোবরের তৈরি করা লাকড়ি গৃহবধূরা
ফুলবাড়ীতে এসিল্যান্ডের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ক্লোন চাঁদা দাবি: থানায় জিডি দায়ের
ফুলবাড়ীতে সবজির দাম উর্ধ্বমূখী রাতারাতি দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তা
ধর্মপাশায় সরকারি রাস্তার গাছ কেটে নিলো এক শিক্ষক
সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয়ায় রামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন
মসিকে ১০ কোটি টাকার সড়ক ও ড্রেনের কাজ উদ্বোধন করলেন মেয়র
কলমাকান্দায় নদীর পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক যতীন সরকারের জন্মদিন উদযাপন
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যতীন সরকারের ৮৮তম জন্মদিন আজ
১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এমএলএম mtfe বন্ধ
কলমাকান্দায় পুলিশের কাছে ধরা পড়লো তিন মাদক কারবারি
আটপাড়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১০৩ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
নকলায় ফাঁসিতে ঝুলে নেশাগ্রস্থ কিশোরের আত্মহত্যা
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস
কলমাকান্দায় আগুনে পুড়ে ২১ দোকানঘর ছাই

Notice: Undefined variable: sAddThis in /home/durjoyba/public_html/details.php on line 809