
গুলশান আরা রুবী
ও নদী তুমি কি শুনতে পাও?
আমার চোখের নিরব কান্না।
তোমার বুকে হবে একটু ঠাঁই আমার চোখের অশ্রু।
অশ্রু জলে মিশে যাবে আমার চোখের নোনা জল
আঘাত ভরা অন্তর আমার পাথর হলো
সেই কষ্টের ব্যথায় চর বেঁধেছে বুকে অতলে।
সুরের পাপিয়া গান গেয়ে যায় আমার হৃদয়ে
এই মনের ভালবাসা সুর যেন রং মেখেছে অধরায়!
এ অন্তরে বিরহ জ্বালা নিয়ে জলে ভাসে চোখ
সাগর কুলে জ্বলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের মুখ।
অতল সাগরে ডুবে মরে কত শত
জীবজন্তু আরো কত মানুষ!
ঢেউয়ের আঘাতে তীর ভাঙে ভাঙে কত ঘর
তাতে হয় ফানুষ।
জোয়ারের আঘাতে ভাঙে নদীর কূল
আশা নিয়ে বাসা নদীর ওই চরে
তাই বলে একি তাদের ভুল।
নদী জোয়ার কেড়ে নিল আপন নীড়
কোথায় গেলে পাব আমি মনে স্থীর।
স্বপ্নের বসত ঘর যে আমার কেড়ে নিলো কাল স্রোতে
তাইতো কষ্টে বিলাপ করে যাই তরঙ্গের সাথে।
এই দুনিয়ায় সুখী যারা সুখে আছে তারা
আমি দুঃখিনী রে ভাই আমি দুঃখে হই সারা।
আরও পড়ুন: ছায়ায় খুঁজি